
ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থল অভিযানের মধ্যে উপত্যকাটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজার রাজধানী গাজা শহর ঘেরাও করার দাবি করেছে। গতকাল রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
রোববার (০৫ নভেম্বর) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানান, গাজাকে এখন থেকে উত্তর গাজা ও দক্ষিণ গাজা হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটিতে প্রবেশ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে রোববার রাত থেকেই গাজার ওপর নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। এদিন উত্তর গাজায় শতাধিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে হামলা চালায় নেতানিয়াহুর সেনারা। তবে উপত্যকাটিতে ইন্টারনেট ও মোবাইল টেলিকম সেবা বন্ধ থাকায় হামলার পূর্ণাঙ্গ তথ্য নিশ্চিত হতে পারেনি সংবাদমাধ্যমগুলো।
এ দিন রাতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী গাজার দুটি শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালিয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসে। এ দিন মাগাজি শরণার্থী শিবিরে এবং বুরেজি শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলের কাছে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। যদিও গাজায় সামরিক অভিযান শুরুর পর বেসামরিক নাগরিকদের সেখানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল ইসরায়েলের পক্ষ থেকে।
এর আগে শনিবার (০৪ নভেম্বর) আরব বিশ্বের পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৈঠকে আরব বিশ্বের মন্ত্রীরা গাজায় অবিলম্বে শর্তহীন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তা নাকচ করে দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি হামাসকে সুবিধা দেবে। হামাসের সদস্যরা পুনর্গঠিত হয়ে পুনরায় ৭ অক্টোবরের মতো হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।