আন্তর্জাতিক

দাঁতের ব্যথায় খেতে পারছেন না সু চি, পাচ্ছেন না জরুরি চিকিৎসা

মোহনা অনলাইন

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির ছোট ছেলে বলেছেন, তাঁর মাকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে না। কিম আরিস বলেন, সু চির ‘জরুরি চিকিৎসাসেবা’র বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের অনুরোধ আটকে দিয়েছে সামরিক জান্তা।

কিম বলেন, জান্তা সরকারের কাছে তার মায়ের জন্য জরুরি চিকিৎসার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে জান্তার একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, সু চি ভালো আছেন এবং সামরিক ও বেসামরিক ডাক্তাররা তার চেক-আপ করছেন।

২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন সু চি। এরপর থেকেই কারাগারে আছেন তিনি। জুলাই মাসে তাকে কারাগার রাজধানী নেপিদোতে স্থানান্তরিত করা হয় গৃহবন্দী অবস্থায়। তবে তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

বিবিসি বার্মিজকে পাঠানো এক বার্তায় কিম অ্যরিস বলেছেন, ‘একজন অসুস্থ বন্দীর প্রস্তাবিত চিকিৎসা সেবার প্রবেশাধিকার অস্বীকার করা নির্মম এবং নিষ্ঠুর।’

৪৬ বছর বয়সী কিম বর্তমানে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। তার ভাষ্য, তার মা প্রচণ্ড অসুস্থ। মারাত্মক মাথা ঘুরানো অনুভব করছেন তিনি এমনকি বমিও করেছেন।

সু চির দাঁতের ব্যথা সম্পর্কে কিম বলেন, যাদের এমন বেদনাদায়ক মাড়ির রোগ আছে তারা স্বাভাবিকভাবেই খেতে পারেন না। তারওপর যদি উপযুক্ত চিকিৎসা না দেওয়া হয় তবে তাদের স্বাস্থ্য সম্পূর্ণ ঝুঁকিতে থাকে।’

সু চির ঘনিষ্ঠরা বিবিসিকে জানিয়েছেন তার দীর্ঘস্থায়ী মাড়ির অসুখ রয়েছে। তিনি নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন। বর্তমানে তার মাড়ির সমস্যা আরও বেড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, তাকে নরম খাবারের পাশাপাশি দাঁতের ব্যথা উপশমের জন্য ওষুধযুক্ত জেলি খেতে দেওয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের নির্বাসিত জাতীয় ঐক্য সু চির মতো সকল রাজনৈতিক বন্দীদের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন জান্তাকে চাপ দেওয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button