একমুঠ লবন নিয়ে দুই পরিবারের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু!

আলফাজ সরকার আকাশ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া গ্রামে একমুঠ লবন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই পরিবারের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে হাবিবুর রহমান (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত হাবিবুর রহমান কপাটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত ইন্নস আলীর ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিবুর রহমানকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

নিহতের স্বজনরা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, হাবিবুর রহমানের পুত্রবধূ ঝর্ণা ও পাশের বাড়ির সেলিনা একই কারখানায় চাকরি করেন। শনিবার দুপুরে কারখানায় থাকা অবস্থায় দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় লবন নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বাড়িতে এসে রোববার সকালে পূর্বের ঝগড়ার জেরে আবারো তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে শফিকুল, সেলিনা, হ্যাপী ও সুফিয়া ঝর্ণার পরিবারের সদস্যদের সাথে উত্তেজিত হয়। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি শুরু হলে হাবিবুর রহমান তাদের দুই পক্ষকে নিভৃত করতে চেষ্টা করেন। এ সময় দুপক্ষের ধস্তাধস্তির মাঝখানে পড়ে গলায় থাকা গামছায় প্যাচ লেগে মাটিতে পড়ে আহত হন।  এরপর তার জ্ঞান হারিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে মাওনা চক পাড়া মেডিকেল ও পরে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মালিহা বিনতে মোস্তফা বলেন, হাবিবুর রহমানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।

নিহত হাবিবুর রহমানের মেয়ের স্বামী মোঃ ওয়াসিম বলেন, ঝগড়াঝাঁটির মাঝখানে উপস্থিত হয়ে তিনি (হাবিবুর রহমান) দুই পক্ষকে থামাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এখন নিজের জীবনটাই চলে গেল। ওয়াসিম বলেন, নিহতের স্বজনরা এই ঘটনায় মামলা করবেন কি না তা সিদ্ধান্ত নিবেন। রোববার বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত নিহতের স্বজনরা এ বিষয়টি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি আজমির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

 

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button