সাফ চ্যাম্পিয়নদের বরণে প্রস্তুত হচ্ছে ‘ছাদখোলা বাস’
স্পোর্টস ডেস্ক

ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনীকে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই।’
আক্ষেপ নিয়েই ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় সানজিদা আখতার।
গত সোমবার রাতে প্রথমবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠে চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবল দলকে বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে সংবর্ধনা দেওয়ার।
এই আলোচনার মধ্যেই বিজয়ীদের ঘরে ফেরাটা রাঙাতে ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করছে সরকার। রাতেই যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জানান, ছাদ খোলা বাসেই সাফ চ্যাম্পিয়নদের সংবর্ধনা জানাবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এয়ারপোর্টে থেকে বাফুফে ভবন পর্যন্ত ছাদ খোলা বাসে করে সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য দারুণ এক গর্বের দিন। তারা বাংলাদেশকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব এনে দিয়েছে। সানজিদা আক্ষেপ করে বলেছিল যে, হয়তো তাদের ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দেওয়া হবে না। তার আক্ষেপ আমরা ঘোচানোর চেষ্টা করছি।’
আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) তারই প্রতিফলন দেখা গেলো বিআরটিসির মতিঝিল বাস ডিপোতে। সকাল থেকে একটি দ্বিতল বাসের ছাদ কাটা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বাসটিকে নতুন করে রাঙিয়ে তুলতে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন কর্মী। তাদের বিভিন্ন বিষয় নির্দেশনা দিচ্ছেন কয়েকজন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) জেনারেল ম্যানেজার মেজর মোক্তারুজ্জামান বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে নারী ফুটবল দলের সদস্যদের নিয়ে আসার জন্য বিআরটিসি পক্ষ থেকে একটি ছাদখোলা বাস তৈরি করা হচ্ছে। সন্ধ্যার মধ্যে আমরা কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।’ নারী ফুটবল দল দেশের জন্য যে গৌরব বয়ে এনেছে, তা ‘অনন্য’ বলেও উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
আজকের মধ্যেই বাসটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামও। তিনি জানান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা কাজ শুরু করেছেন। আজ রাতের মধ্যে বাস পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘মেয়েরা জাতিকে একটা বড় উপহার দিয়েছে। জাতি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা তাদের এই উদযাপনে সঙ্গী হতে পেরে গর্বিত।’
কাল কৃষ্ণা ও সানজিদারা যখন বাংলাদেশে ফিরবেন, তখন বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানাবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা। সড়কেও হয়তো থাকবেন ফুটবলপ্রেমীরা। তাদের অভিবাদনের জবাব নারী ফুটবলাররা ছাদখোলা বাস থেকেই দিতে পারবেন।