টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভ সূচনা বাংলাদেশের
সাজ্জাদুর রহমান

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করলো বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারালো টাইগাররা। সেইসঙ্গে এই ফরম্যাটের বিশ্বআসরে দীর্ঘ ১৫ বছরের জয়খরা কাটালো তারা। বাংলাদেশের ৮ উইকেটে ১৪৪ রানের জবাবে, তাসকিনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। এ জয়ে বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন অধিনায়ক সাকিব। আর ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তাসকিন।
বিশ্বকাপের আগে কয়েকটি সিরিজ, এমনকি ওয়ার্মআপ ম্যাচও হেরে আত্মবিশ্বাসে খানিকটা ধাক্কা লেগেছিলো বাংলাদেশের। তবে মূলপর্বের শুরুতেই নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে তা পুনরুদ্ধার করলো টাইগাররা। হোবার্টের আকাশ কাঁদার দিনে ৯ রানের জয়ে হেসে ওঠলো বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দীর্ঘ ১৫ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো সাকিব বাহিনী।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে সৌম্য-শান্তর ওপেনিং জুটি। কিন্তু দলীয় ৪৭ রানে শান্ত আউট হওয়ার পর স্কোরবোর্ডে ১৬ রান যোগ করতেই নেই লিটন, সাকিবসহ ৪ উইকেট। চাপের বিপরীতে প্রান্ত আগলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ। এরপর শেষদিকে মোসাদ্দেকের অপরাজিত ২০ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান করে বাংলাদেশ।
জবাবে, ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিনের বোলিং তোপে পড়ে ডাচরা। রানের খাতা খোলার আগেই জোড়া আঘাতে ধাক্কা খায় তারা। এরপর সাকিবের এক ওভারে দুটি রানআউটে, দলীয় ১৫ রানে ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে কুকের শিষ্যরা।
এরপর অকারম্যান নেদারল্যান্ডসকে জয়ের আশা দেখান। তাকে ৬২ রানে ফিরিয়ে দিয়ে জয়ের নায়ক বনে যান তাসকিন। শেষ দিকে পল ২৪ রানের ইনিংস খেললেও ১৩৫ রানে থেমে যেতে বাধ্য হয় ডাচরা।
চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা তাসকিন। তিনি বলেন, একটা জয় খুব দরকার ছিলো। আর অধিনায়ক সাকিব জানান, ব্যাটিংয়ের ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছেন বোলাররা।
আগামী ২৭ অক্টোবর সিডনিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।