আবারো পাইকারি পর্যায়ে ৮ ও খুচরায় ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম
রেযা খান

রমজান সামনে রেখে ঘন ঘন বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষ। এতে নিত্যপণ্যের দাম আরো বেড়ে জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়বে, এমন শঙ্কা তাদের। আর বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে ভতুর্কি কমানোর বিকল্প পথ বেছে নেয়া হয়নি বলে মনে করেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর শামসুল আলম।
সরকারের নির্বাহী আদেশে আবারো পাইকারি পর্যায়ে ৮ ও খুচরায় ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। এর আগে ১২ জানুয়ারি ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত তিনবার বিদ্যুতের দাম বাড়ায় অস্বস্তি দেখা দিয়েছে জনমনে। এতে রমজানের আগে নিত্যপণ্যের বাজারে বিস্ফোরণ ঘটবে বলে আতঙ্কে আছেন তারা।
জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত রমজানের পর কার্যকর করলে ভাল হতো বলে মনে করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিকে, বিদ্যুত খাতের অনিয়ম ও ব্যয় সংকোচনের উদ্যোগ নেয়া হলে দাম বৃদ্ধির প্রয়োজন হতো না বলে মনে করছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা।
বারবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা আরো কঠিন হয়ে পড়বে বলেও মনে করছেন এ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ।