বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
সাজ্জাদুর রহমান

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী- ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীনতার পরবর্তী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিলেন স্বক্রীয়। বঙ্গবন্ধু ঘনিষ্ঠ সহচরও ছিলেন তিনি। আবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ছায়াসঙ্গীও ছিলেন আজীবন। মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সাজেদা চৌধুরী মৃত্যুর আগপর্যন্ত ছিলেন সংসদ উপনেতা।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ই মে তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরায় মামাবাড়িতে। বাবা সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ১৯৫৬ সালে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঢাকায় আসার পর ৬ দফা আন্দোলন এবং ৬৯ এর গণঅভ্যূত্থানে সামনের কাতারে থেকে নিজের অস্তিত্ব জানান দেন তিনি। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সাজেদা চৌধুরী।
মুক্তিযুদ্ধকালী ভারতের কলকাতায় গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। অংশ নেন ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৭৩ সালে ফরিদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৭৬ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এছাড়া ১৯৮৬ থেকে ৯২ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সাজেদা চৌধুরী।
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে প্রবাস থেকে ফেরানোর গুরুদায়িত্ব পালন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদা চৌধুরী। তাকে ফুপু বলে সম্বোধন করতেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পালন করেছেন মহীয়সী এ নারী।।
তিন ছেলে ও এক মেয়ের জননী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বার্ধক্যজনিত কারণে কয়েক বছর ধরে অনুপস্থিত ছিলেন মাঠের রাজনীতিতে। ১৯৯২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।