বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জোরালো ভূমিকা রাখতে চায় বাংলাদেশ, বললেন প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জোরালো ভূমিকা রাখতে চায় বাংলাদেশ। এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘ মিশনগুলোতে আরও শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ। সকালে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। জানান, বাংলাদেশ সংঘাত নয়, শান্তির পক্ষে। নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে শান্তিরক্ষীদের প্রতি আহ্বানও জানান সরকার প্রধান।
১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান মিলিটারী অবজারভেশণ গ্রুপ মিশনে ১৫ সদস্যের সেনা পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের। এরপর বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের অবদান বাড়তে থাকে। বর্তমানে চলমান ৯ টি মিশনে প্রায় সাত হাজার শান্তিরক্ষী কর্মরত। এরমধ্যে নারী শান্তিরক্ষীর সংখ্যা ৫শ ১৯ জন।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের আলোচনায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দায়িত্ব পালনের সময় আঘাতপ্রাপ্ত শান্তিরক্ষীদের হাতে তার পক্ষে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সরকার প্রধান বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ মিশনগুলোতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ যুক্ত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জনে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কখনোই যুদ্ধ বিগ্রহ চায় না।
মিশনগুলোতে মানুষের আস্থা অর্জন করায় শান্তিরক্ষীদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আগামীতেও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান।
এরআগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মিশনে অবস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় যথাযথভাবে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি