সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
এম আর আসাদ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় এই সশস্ত্র বাহিনী দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পর বাংলাদেশ ভারতের সাহায্য নেয়। তাদের সহায়তায় আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে বাংলার সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী। যার ফলশ্রুতিতে খুব দ্রুত পাকিস্তানি সেনাদের হারাতে সক্ষম হয় যৌথবাহিনী।
১৯৭১ সালের মার্চে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বীজ বপন হয় ৭ই মার্চের ভাষণ এবং ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে। পরাধীন জাতিকে মুক্ত করতে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে বাংলার মানুষ।
স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধে বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়ায় ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী। তাদের সহযোগিতায় আরো শক্তিশালী হয়ে বাংলার সশস্ত্রবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যেসব বাংলাদেশি আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছিলেন তাঁরাও যুক্ত হন স্বাধীনতাসংগ্রামে। দেশটিকে ১১টি সেক্টর বিভক্ত করে এই সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, কৃষক-শ্রমিক-জনতা এবং সেনাবাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের সম্মিলিত প্রয়াস শুরু হয় ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর আজকের এই দিনে।
স্থলসেনার পাশাপাশি বাংলার নৌবাহিনীকেও শক্তিশালী করে তোলা হয়। বিএনএস পদ্মা ও পলাশ নামের দুটি যুদ্ধজাহাজের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আসা অস্ত্র ও রেশন আটকে দেয় নৌসেনারা।
১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিমানবাহিনী গড়ে তোলা হয়। যেসব বাঙালি বিমানসেনা যুদ্ধের আগে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁদের এই বাহিনীতে যুক্ত করা হয়। অনেকেই ভলান্টারি অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে তৎকালীন বায়ুসেনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেন। তাঁরাই বাংলাদেশের সর্বপ্রথম বিমানবাহিনী প্রস্তুত করেন। সম্মিলিত বাহিনীর সব কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর আজকের এই দিনে। তাইতো দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার জন্যই পালন করা হয় আর্ম ফোর্সেস ডে বা সশস্ত্র বাহিনী দিবস।