
দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ায় সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখে। তবে পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও শুধুমাত্র আমদানি বন্ধের অজুহাতে কয়েক মাস ধরে এ পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। দুই মাসের ব্যবধানে আড়াই থেকে তিনগুণ বেড়ে যায় দাম।
রোববার বিকেলে সরকার পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেল থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। এরপর থেকেই বন্দর এলাকায় ২০-২৫টাকা কেজি প্রতি দাম কমেছে পেঁয়াজের।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ। তিনি জানান, বিকেল থেকে পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রবেশ শুরু করেছে। আইপি অনুমোদন পাওয়া নথিপত্র পেলেই ট্রাক প্রবেশের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।
পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয়ার পর সোমবার বিকেলের দিকে আমদানি শুরু হয়েছে। কয়েকজন আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন পেয়েছেন।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, বিকেল থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। আগামীকাল পুরোদমে শুরু হবে পেঁয়াজ আমদানি। ভারতের মোহদিপুর বন্দরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক ট্রাক।