স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন

মোহনা সংবাদ

স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন নগরীর দুই বারের  সাবেক মেয়র । তিনি বলেন,  আমাকে হারানো হয়েছে ইভিএম ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ করে। আমি পুরোপুরিভাবে এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। এ বিষয়ে আমি আইনি ব্যবস্থা নেবো। রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

নতুন নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ডহীন আখ্যা দিয়ে সাককু বলেন, তাদের কোমরই নেই। মেরুদণ্ড থাকলে এভাবে করে? আমার ১০১টি কেন্দ্র ঘোষণা হয়ে গেছে। আর চারটি কেন্দ্র বাকি ছিল। আমার লোক বললো, ৪টি দিলে আমরা চলে যাই। সেটা না করে দেড় ঘণ্টা ঘোরালো। এরপর হুট করে রেজাল্ট ঘোষণা করে দিল।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

বেসরকারিভাবে নির্বাচিত নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ১০৫ কেন্দ্রে ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়েছেন। আর টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। আরফানুল হক রিফাত ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে মনিরুল হক সাক্কুকে পরাজিত করেছেন।

বুধবার (১৫ জুন) রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সারাদিন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ করা হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়ার যায়নি।

নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হয়।

কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে দুজন।

প্রথমবারের মত সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুসিকের ১০৫টি ভোটকেন্দ্র ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

 

author avatar
Editor Online
Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button