বিদ্যুতের অভাবে শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত
রেযা খান

রাজধানীতে গড়ে দিনে ৫ ঘন্টা ও রাতে ৩ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এলাকাভেদে পরিমাণ কিছুটা কম বেশি হয়। আর ঢাকার প্রান্তিক এলাকাগুলোতে চলছে ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলা। বিদ্যুতের অভাবে শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ডিজেল দিয়ে কারখানা চালাতে হিমশিম অবস্থা তাদের। রাজধানীতে ডিজেলের চাহিদা বেড়েছে অন্তত পাঁচগুণ।
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৫ হাজার ৭শ মেগাওয়াটের বেশি। সর্বোচ্চ উৎপাদন প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট। আর একদিনে সর্বোচ্চ চাহিদা প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু দিন দিন কমছে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন।
পরিস্থিতি সামলাতে শিডিউল লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবতা আরো নাজুক। রাজধানীর অনেক এলাকায় দিনে ৫ বার আর রাতে ৩ বার লোডশেডিং হচ্ছে। কোন কোন এলাকায় তা আরো বেশি।
বিদ্যুতের আসা যাওয়ার পাশাপাশি পানি ও গ্যাসের সংকটে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।
ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে চলছে কলকারখানার উৎপাদন। এতে ডিজেলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৫ গুণ। আর খরচে দিশেহারা শিল্প কারখানা সংশ্লিষ্টরা।
চলমান বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে পাওয়ার সেল, ডেসকো ও পিডিবির কর্মকর্তারা কেউ কথা বলতে রাজী হননি। চলমান পরিস্থিতিতে কথা বলা সম্ভব নয় বলে জানান পিডিবি’র জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক শামীম হাসান।
ভোগান্তি লাঘবে লোডশেডিং সহনীয় করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।