মানবসৃষ্ট কারণে ধ্বংস হচ্ছে ওজোন স্তর
নাসির উদ্দিন

মানবসৃষ্ট কারণে ধ্বংস হচ্ছে ওজোন স্তর। যার প্রভাবে পৃথিবী বিপন্ন হওয়ার আশংকা করছেন পরিবেশবিদরা। দুপুরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেন, ওজোন স্তরের ক্ষতিতে অতিবেগুনি রশ্মির পরিমাণ বাড়ছে। যা চোখে ছানিপড়া, ত্বকের ক্যান্সারসহ জটিল সব রোগের কারণ। বিশ্বের প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় সব দেশকেই সিএফসি ব্যবহার বন্ধের তাগিদ দেন পরিবেশবিজ্ঞানীরা।
ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি যেন পৃথিবীর মাটিতে পৌঁছাতে না পারে সেজন্য ঢাল হয়ে বায়ুমণ্ডলের উপরের দিকে অবস্থান করে ওজোন স্তর।
কিন্তু মানুষের খামখেয়ালীতে সেই ওজোন স্তর এখন হুমকির মুখে। শিল্পায়নের যুগে নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার এবং বায়ুদূষণে ধ্বংস হচ্ছে স্তরটি। যা পৃথিবীর জন্য ক্ষতির কারণ হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না উদ্ভিদ এবং প্রাণিকূলও।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেন, আশির দশকে ধরা পড়ে ওজোন স্তরের ছিদ্র। এরপরই ১৯৮৭ সালে মন্ট্রিয়াল চুক্তির মাধ্যমে সিএফসি ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বনেতারা।
গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ে শুধু বাংলাদেশই নয়, উন্নত-অনুন্নত সব দেশই বিপদে পড়তে পারে, বলছেন আলোচকরা। পৃথিবীকে বাঁচাতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।