নেশার টাকা না পেয়ে নানাকে হত্যার অভিযোগে নাতি আটক!

আলফাজ সরকার আকাশ, শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি

গত ৪ দিন ধরে নানা আব্দুল হক মাদবরের কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবী করে আসছিল নাতি আবু সালেক। টাকা না পেয়ে মামা-মামির কাছেও গতকাল সন্ধ্যায় অনেক কাকুতি মিনতি করেছিল সে। তাদের কাছেও না পেয়ে শীল দিয়ে রাতে মামা হারুনের মাথায় আঘাত করে আবু সালেক।একপর্যায়ে মামা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা।

একই রাতে নানা আব্দুল হক মাদবরকেও শীল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতদের স্বজনরা। এ ঘটনায় নাতি আবু সালেককে আটক করেছে পুলিশ।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামে। নিহত আব্দুল হক মাদবর (৮৫) বড়চালা গ্রামের মৃত দুখাই মাদবরের ছেলে।

শনিবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ। অভিযুক্ত আবু সালেক (২৫) নিহতের মেয়ের ঘরের নাতি এবং ময়মনসিংহের গফরগাঁও (পাগলা) থানার মহাখালী গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে।

নিহতের পুত্রবধূ তাসলিমা খাতুন জানান, আহত হারুনকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের ঘরে তালা বন্ধ করে গিয়েছিলাম। পরে সেখান থেকে রাতে বাড়ি ফিরে শ্বশুর আব্দুল হক মাদবরকে কোথাও খোঁজে না পেয়ে রাত তিনটার সময় থানায় যাই আমরা। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে আবারও শ্বশুরকে খোজাখুজি করি। পরে সকালের দিকে লাকড়ি রাখার ঘরে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। আমাদের ধারনা, মাথায় থেতলিয়ে তাকে হত্যা করে কার্টুন দিয়ে লাশ ডেকে রাখে আবু সালেক।

নিহতের ছেলে হারুন মাদবর জানান, আমার বোনের ছেলে সালেক প্রায়ই আমার বাবার কাছ থেকে টাকা নিতো নেশা করার জন্য। গতকাল সন্ধ্যায় আবারও টাকার জন্য এলে বাবাকে টাকা দিতে নিষেধ করে বাজারে চলে যাই। রাত ৯টার দিকে বাসায় এসে ঘরে ডুকতেই শীল দিয়ে পিছন থেকে আমাকে আঘাত করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। আমাকে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়। গাজীপুর সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমার ঘরে আসি। সকাল ৭টার দিকে আমাকে আঘাত করা শীল খোজতে গিয়ে ওই ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখে বাবার লাশের সন্ধান পাই। আমার ধারনা আমাকে আঘাত করার আগে কিংবা পরে সে বাবাকে খুন করেছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ” ঘটনা অবগত হয়ে শনিবার সকালেই ময়মনসিংহের মশাখালী এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে আবু সালেককে আটক করি। আমরা তাকে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞেসাবাদ করছি। বিষয়টি সম্পর্কে উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাঁরাই আপনাদের বিস্তারিত জানাবে”।

গাজীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আজমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে জানান, এই ঘটনায় নাতি সালেক আহমেদকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আলফাজ সরকার আকাশ শ্রীপুর-গাজীপুর।

 

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button