এবার পাগলা মসজিদের দান বাক্সে জমা পড়ল রেকর্ড পরিমান টাকা
মোঃ আসাদুজ্জামান

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ১৫ বস্তা দেশি-বিদেশি মুদ্রা। আছে স্বর্ণ ও রৌপ্যসহ অসংখ্য চিঠি। এবার ৩ মাস ১ দিন পর খোলা হয় ৮ টি দান সিন্দুক।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। মিলেছে ১৫ বস্তারও বেশি দেশি-বিদেশি মুদ্রা। আছে স্বর্ণ ও রৌপ্যসহ মানতের সব চিঠি।
এরপর শুরু হয় টাকা গোনার কাজ। অংশ নেন কয়েকশ’ শিক্ষক-শিক্ষার্থী। ছিলেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পাগলা মসজিদে মানত করলে পুরণ হয় মনের বাসনা। সেই বিশ্বাস থেকেই দান করেন সবাই।
এর আগে ২ জুলাই মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার মিলেছিল।
কিন্তু গত জুলাই মাসের রেকর্ড ভেঙে এবার মোট টাকা জমা পড়ল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা যা পূর্বের তুলনায় বেশি ।
প্রায় ৫০ বছর আগে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক সাধু নরসুন্দা নদীর মাঝখানে চরে আশ্রয় নেন। তার মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। পরে পাগলা মসজিদ নামে পরিচিতি পায় এ মসজিদটি। পাগলা মসজিদে দান করলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়, এমন বিশ্বাসে মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকজন এখানে দান করে থাকেন।
নগদ টাকা ছাড়াও পাওয়া যায়, চাল, ডাল, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ অনেক কিছু। দানের টাকা থেকে নিজস্ব খরচ মিটিয়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মধ্যে ব্যয় করা হয়।