কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের সিন্দুকে এবার ২০ বস্তা টাকা
রুহুল আমীন জুয়েল, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ঐহিত্যবাহী পাগলা মসজিদের আটটি দানের সিন্দুক খুলে এবার পাওয়া গেল ২০ বস্তা টাকা। নগদ টাকা ছাড়াও দানবাক্সে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মূদ্রা ও সোনা-রূপার গহনাও।
আজ শনিবার (০৭ জানুয়ারি) সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ও মসজিদ কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তাদের সামনে এ সিন্দুকগুলো খোলা হয়। এর আগে গত ১ অক্টোবর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন সিন্দুকগুলোতে সবমিলিয়ে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গিয়েছিল।
এবার ৩ মাস ৬ দিন পর দানবাক্স খুলে এযাবৎ কালের রেকর্ড ২০ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এগুলো বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলায় নিয়ে গণনার কাজ চলছে। প্রায় দু’শ লোক একসঙ্গে এই টাকাগুলো গননার কাজ করে। টাকার বস্তাগুলো একে একে ঢেলে দেওয়া হয় তাদের সামনে। এভাবে বস্তার পর বস্তা টাকা গণনার কাজ এগিয়ে চলে। একই সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তাগন মেশিন দিয়ে টাকাগুলো আবার গণনা করেন।
পাগলা মসজিদের ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা টাকা থেকে আসা লভ্যাংশ অসহায়-দুস্থ, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষের সেবা এমনকি দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। এ মসজিদে মানত কিংবা দান-খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ এখানে দান করে থাকেন। এভাবে এই মসজিদের খ্যাতি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। দিন দিন মসজিদের দানের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ জনান, দানের অর্থে ১১৫ কোটি টাকায় একটি ৬তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স তৈরি হবে। সেখানে ৬০ হাজার নারী-পুরুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।