কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড
মিলন খন্দকার, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আল্লেক আলী (৪৫) নামে একজনকে যাবজ্জীবন ও ভাসুর মনাকে ৭ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আল্লেক আলীকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও একবছরের সশ্রম করাদন্ড ও ভাসুর মনাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে ভাসুর মনাকে পুলিশ আটক করতে পারলেও স্বামী আল্লেককে এখনো পলাতক রয়েছে বলে আদালত সুত্রে জানা গেছে।
আজ রবিবাব (১৯ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। অভিযুক্ত আসামী মনাকে পুলিশের কঠোর পাহাড়ায় জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয় এবং মুল সাজাপ্রাপ্ত আসামী আল্লেককে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ নির্দেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামের সোনা উল্লাহ এর বড় ছেলে আল্লেক আলী ও ছোট ছেলে মনা।
আদালত সূত্রে জানা যায় ২০০৬ সালে ৩০ শে জুন নিহত হাফিজা খাতুন বাড়ীর পাশে পুকুরে ভোরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের আধাঘন্টা পর নিহত হাফিজা খাতুনের লাশ এলাকাবাসি পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। পরে ময়নাতদন্তের পর জানা যায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আড়াই মাস পরে ভেড়ামারা থানায় নিহতের মামা আসমত আলী নিহতের স্বামীসহ ৬জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবু জাফর মামলাটির তদন্ত শেষে নিহতের স্বামীসহ ৬জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিলে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন মামলাটি সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষনা করেন।