ক্লিনিকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়া বাঁধা দিয়ে হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিদর্শক লাঞ্চিত!
আলফাজ সরকার আকাশ, শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ক্লিনিকে রুগী নিতে বাধা দেওয়ায় এক স্বাস্থ্য পরিদর্শককে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে হাসপাতালের ভেতরে জরুরি বিভাগের দরজার সামনে এ লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মোঃ ফজলুল হক শ্রীপুর চৌরাস্তায় নিউ এশিয়া ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী। লাঞ্ছনার শিকার মোঃ জালাল শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক। বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মোঃ জালাল জানান, তিনি সকালে জরুরি বিভাগের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সেখানে এক রোগীকে নিজেদের ক্লিনিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন ফজলুল হক ও অপর এক ব্যক্তি। ওই রোগী ও তার স্বজনরা যেতে রাজি হচ্ছিলেন না। ‘এখানে কি হচ্ছে ‘ এই কথা বলতেই তার দিকে তেড়ে আসেন ক্লিনিক মালিক ফজলুল। তিনি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তার পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দিয়ে রোগীকে নিয়ে যেতে নিষেধ করে জালাল সেখান থেকে অন্য একটি কক্ষে চলে যান। সঙ্গে সঙ্গে ফজলুল ওই কক্ষে গিয়ে জালালকে গালিগালাজ করে তাঁকে মারতে উদ্যত হন। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ‘ গেটম্যান ‘ মোঃ আলমগীর এসে তাঁকে নিরাপত্তা দিয়ে অন্যত্র নিয়ে চলে যান। পরে আমি হাসপাতালের স্টাফ আমান মিয়ার রুমে গেলে সেখানেও ফজলুল হক অশ্লীল গালিগালাজ করে মারতে তেড়ে আসে। জালাল বলেন, ‘ দরিদ্র রোগীকে হাসপাতাল থেকে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ায় বাধা দেওয়ার কারণে আমি লাঞ্চিত হয়েছি। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো।
অভিযুক্ত ফজলুল হক বলেন, আমি হাসপাতালে দাঁড়ানো ছিলাম। ওনি এসে আমাকে গালিগালাজ শুরু করেন। আমার সঙ্গে এমন করার কারণ আমি জানি না। আমি তাকে লাঞ্চিত করিনি। এটা মিথ্যা অভিযোগ। বরং ওনি আমার গায়ে হাত তুলছেন ‘। তিনি জানান, তার মাকে হাসপাতাল থেকে আনতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। কোনো রোগী আনতে যাননি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রণয় ভূষণ দাস মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, ঘটনার সময় অফিসের কাজে আমি আদালতে ছিলাম। বিষয়টি মুঠোফোনে শুনেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ খায়রুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় কেউ আমাকে অবগত করেনি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।