টাকার বিনিময়ে প্রত্যয়ন পত্র দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
মোঃ ইউসুফ মিয়া, রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা মাছপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ৩০নং মেঘনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে প্রত্যয়ন পত্র দেওয়ার নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ১৫০ থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছি এজন্য আমাদের পঞ্চম শ্রেণীর প্রত্যয়ন পত্র লাগবে প্রত্যয়ন পত্র আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনিসুর রহমানের কাছে চাইতে গেলে আমাদের কাছ থেকে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে দাবী করছেন। টাকা ছাড়া প্রত্যয়ন পত্র দিচ্ছে না। আবার টাকা দিলে খুব দ্রুতই পাওয়া যায়।
ইমন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, স্যারদের কাছে সার্টিফিকেট নিয়ে আসার জন্য আমি গিয়েছি আমার কাছে ২০০ টাকা চেয়েছে আমি ১৫০ টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছি।
শিমু নামে আর এক শিক্ষার্থী বলেন, সার্টিফিকেট নিয়ে আসার জন্য স্কুলে গিয়েছিলাম আমার কাছে ২০০ টাকা চেয়েছিল আমি ১০০ টাকা দিয়েছি এ জন্য আমার সার্টিফিকেট দেয়নি এখন পর্যন্ত।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনিসুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন সার্টিফিকেট কিনে নিয়ে এসে আমি বিক্রয় করছি।
এসময় সার্টিফিকেট কোথা থেকে কিনে আনা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন ’আমি বললাম আমার ছেলে কিন্তু সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন তুই যত বড় সাংবাদিকই হইস আমি কিন্তু তাকে জানিয়ে দিব’।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে এম নজরুল ইসলাম মুঠো ফোনে বলেন, সার্টিফিকেটের জন্য টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই এরকম প্রমাণ থাকলে আমাকে দিন আমি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাংশা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী বলেন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সাটিফিকেট দেওয়ার এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।