দেখতে রাজপ্রাসাদ হলেও এখানে থাকে না কোন রাজা-বাদশা।
আতিক রহমান, বগুড়া প্রতিনিধি

শতকোটি টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল বাড়ীটি বগুড়া শহরের ৩০ কিলোমিটার দূরে শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউপির মেঘাখর্দ্দ গ্রামে। নিভৃত গ্রামে এই বাড়ীটি দেখতে প্রতিদিনই আসেন দর্শনার্থীরা। বাড়ীর মালিক না থাকলেও আত্মীয় স্বজনরা জানান, গ্রামের মানুষদের বড় হতে স্বপ্ন দেখাতেই তৈরী করা হয়েছে দৃষ্টি নন্দন বিলাসবহুল বাড়িটি।
দূর থেকে দেখে মনে হবে এটি লন্ডনের ভিক্টেরিয়া মেমোরিয়াল। আর মুল ফটকের নকশা দেখে মনে হবে নাটোরের উত্তরা গনভবন। আর বাড়ীর ভিতরে ঢুকতেই চোখধাঁধাঁনো মার্বেল পাথরের নির্মান শৈলী আসবাবপত্র আর ঝাড়বাতি দেখে রাজা বাদশার প্রাসাদই মনে হওয়া স্বাভাবিক।
এক একর জমির উপর দুটি ইউনিট ভাগ করা হয়েছে প্রাসাদ সমতুল্য বাড়ীটি। একটি পরিবারের বসবাসের জন্য অপরটি গেষ্ট হাউজ। গেষ্ট হাউজে টেরাকোটি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, রাজনীতিবিদ এবং শিল্পী মনীষীদের ছবি স্থান পেয়েছে।
প্রতিবেশী আর কোল্ড স্টেরেজের ম্যানেজার জানালেন, ২০০৩ সাল থেকে শুরু এ বাড়ী করতে সময় লেগেছে প্রায় ১৭ বছর। গেষ্ট হাউজটি এখনো শেষ হয়নি। দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই দশর্ণাথীরা আসেন বাড়ী দেখতে বাড়ীটির কারুকাজ দেখে অভিভুত হন তারা।
ঢাকাস্থ অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন টুটুল নিজ উদ্যোগে নিজ গ্রামে তার পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং গ্রামের মানুষদের বড় হবার স্বপ্ন দেখাতেই প্রাসাদ সমুতুল্য বাড়ীটি নির্মান করেন বলে জানালেন তার আত্মীয় স্বজন।
বাড়ীর নির্মাতা শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউপির মেঘাখর্দ্দ গ্রামে সাখাওয়াত হোসেন টুটুল, ৪ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট। তার রয়েছে ঢাকায় অক্সর্ফোড ইন্টারন্যাশনাল নামের তিনটি স্কুল। এছাড়া তিনি টাটকা ফুড প্রোডাক্টস ও এ এইচ জেড কোল্ড স্টোরেজের স্বর্তাধীকারী।
তবে রহস্যজকভাবে তার লোকজন তার সাথে কথা বলার কোন নাম্বার দিতে অনিহা প্রকাশ করেন। দুদকের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জেলে গিয়েছিলেন তিনি ।