নবাবগঞ্জ ইছামতি নদীতে বর্নিল নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
দোহার - নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ভরা বর্ষা মৌসুম। ইছামতি নদীতে পানি কম। তবু ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউথ ক্লাবের উদ্যেগে ইছামতি নদীতে আয়োজন করা হয় বিশাল নৌকা বাইচ। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বড় বড় বাইচের নৌকা ও মাঝি-মাল্লার বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর ছন্দ মাতিয়ে তোলে ইছামতির দুই তীর। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার নারী পুরুষ এ দৃশ্য দেখতে ভিড় করে।
শুক্রবার ঢাকার নবাবগঞ্জে ইছামতী নদীতে হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এ নৌ-র্যালি। বাইচে দুপুর থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা ভিড় করে। আশেপাশ ও দূর-দূরান্ত থেকে নারী পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ নৌকা বাইচ দেখতে নদীর তীরে জড়ো হন। বাইচে বিভিন্ন এলাকা থেকে সুসজ্জিত ঘাসী নৌকা অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলালপুরের মোহাম্মদ আলী মিস্ত্রী,মাঝিরকান্দার খান বাড়ি, শ্রীনগর আলমপুরের মামা ভাগ্নে,আগলার লিটন এক্সপ্রেস, দেওতলার শিকদার বাড়ি, কাউনিয়া কান্দি কাঞ্চন নগরের নীল তরী ও কৃষ্ণনগরের দাদা নাতী মোহন মণ্ডল, খানেপুরের শেখ বাড়ি বাইচে, সিরাজদিখানের তুফান নৌকা অংশ গ্রহণ করে । জোড়ায় জোড়ায় টান দেয় নৌকাগুলো।
নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা সংগঠনের পক্ষ থেকে দুই দফা দাবির কথা জানান।
১. দ্রুত ইছামতী নদী সচল করতে সোনাবাজু বেড়িবাঁধে প্রয়োজনীয় জলকপাত স্থাপন।২. প্রতিটি জেলা উপজেলায় সরকারীভাবে নৌকা বাইচ আয়োজন করলে নৌকা বাইচ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। অন্যথায় নৌকা বাইচ খুব সহসাই বিলুপ্ত ঘটবে।
তিনি আরো জানান, ২০১০ সালে এই বাধে পর্যাপ্ত সুইচগেট, ইছামতী নদীর ৭২ কিলোমিটার খনন করার দাবি জানিয়ে স্বারক লিপি দিয়েছি। শুনেছি বেশ কিছু দূর এগিয়েছে। কবে তা আলোর মুখ দেখবে তা কেউ জানেনা। আমরা মাননীয় এমপি সালমান এফ রহমানের হস্তক্ষেপ কমানা করছি। তিনিই পারেন আমাদের এই সমম্যা সমাধান দিতে।