পঁচে গেছে প্রায় ১০ লাখ কেজি কাঁচা চা পাতা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের ২৪টি চা বাগানে শ্রমিকদের আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে বাগানগুলো। শ্রমিক আন্দোলনের ফলে ফ্যাক্টরীগুলোতে মেশিন বন্ধ থাকায় পঁচে গেছে উত্তোলিত প্রায় ১০ লাখ কেজি কাঁচা চা পাতা। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে যানান বাগান কর্তৃপক্ষ। এমন তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা কাঞ্চন পাত্র।

তিনি বলেন, এখনতো পূর্ণ মৌসুম। বছরের ভরা মৌসুম এটি। জেলার ২৪টি চা বাগানে প্রায় ১০ লাখ কেজি কাঁচা চা পাতা পঁচে গেছে। প্রতি ৬ কেজি কাঁচা পাতায় ১ কেজি চা উৎপাদন হয়। প্রতি কেজি চা ২৫০ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়। এ হিসেবে বাগানগুলোর কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

কাঞ্চন পাত্র বলেন, চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির জন্য আমরা টানা আন্দোলন করে চলেছি। বৈঠক করে চা শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়নে কোন সুরাহা আসেনি। তাই শ্রমিকরা নিজ নিজ বাগানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এখন আর তারা বাগানে থাকতে চায়না। রাজপথে যাওয়ার জন্য আমাদের বলছে। আগামী দু’য়েক দিনের মধ্যে যদি সমাধান না হয় তবে আমরা রাজপথে যেতে বাধ্য হব।

এ দিকে আজ শনিবার হবিগঞ্জের বাগানগুলোতে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত রাখে শ্রমিকরা। তবে তারা কাজে যোগ দেননি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানে কর্মসূচি স্থগিত রয়েছে। তবে এখনও মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে সিলেট, মৌলভী বাজার শ্রীমঙ্গলে আন্দোলন চলছে।তিনি বলেন দাবিকৃত মজুরী বাস্তবায়ন না হলে তারা কাজে ফিরবেননা। এমনকি রাজপথে যেতে বাধ্য হবেন বলে হুমকি দেন।

উল্লেখ্য, দৈনিক মজুরী ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে শ্রমিকরা টাকা ১০ দিন ধরে আন্দোলন করে চলেছেন। ইতিমধ্যে তাদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেও এর কোন সুরাহা করতে পারেননি বাগান কর্তৃপক্ষ। তারা ১৪০ টাকা দিতে রাজি হলেও শ্রমিকরা তা মানেননি। এদিকে আন্দোলন শুরুর পূর্বে বাগানগুলোতে যে কাঁচা পাতা সংগ্রহ করা হয়েছিল তা এখন পঁচে গেছে। শ্রমিক আন্দোলনের ফলে ফ্যাক্টরীগুলো বন্ধ থাকায় সময়মতো তা ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। ফলে থাকতে থাকতে এসব পাতা পঁচেছে বলে জানিয়েছেন চা সংশ্লিষ্টরা।

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button