ব্যাস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়ক দখল করে গাছের গুড়ির জমজমাট ব্যবসা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠিতে আঞ্চলিক মহাসড়ক জুড়ে গাছের গুড়ির ব্যবসা জমজমাট; প্রায়ই ঘটে দূর্ঘটনা

বরিশাল-খুলনা, পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাঘড়ী বাঁশতলা, মেডিকেল মোড়, সমবায় ক্লাব, গালুয়া, মোল্লার হাট, নৈকাঠি, জোমাদ্দার বাড়ী ব্রীজ, লেবুবুনিয়া, আমতলা এবং পুটিয়াখালি সড়ক সহ বিভিন্ন সড়কের অর্ধেকের বেশী জায়গা জুড়ে স্থায়ীভাবে কাঠ (গাছ ও গাছের গুঁড়ির) ব্যাবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

সড়কের পাশে এসব গাছ ও গাছের গুড়ি ফেলে রাখায় সৃষ্টি হয় যানজটের, প্রতিমুহুর্তে দূর্ঘটনার ঝুঁকি রয়ে যায়। অপরদিকে ট্রাক,কার্ভাড ভ্যান সহ নসিমনে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নিয়ে চলে গাছ ও গাছের গুড়ি লোড আন লোডের কাজ যে কারনে বেড়েই চলেছে দূর্ঘটনা, এমনকি সড়কে ঝরছে মানুষের প্রাণও।

সড়কের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখলকরে যত্রতত্র পার্কিং করে বড় বড় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান দীর্ঘ সময় গাছের গুড়ি ও গাছ তোলার কর্মযোগ্য চালায়। বড় বড় গাছের গুড়িও পরিমাপ করা হয় সড়কের উপড়েই। ট্রাকে গাছ ও গাছের গুড়ি তোলার সময় গাড়ী ও মানুষের চলাচলে সৃষ্টি হয় চরম দূর্ভোগ। দূর্ঘটনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলতে হয় শিশু শিক্ষার্থী সহ পথচারীদের এবং ব্যাস্ততম সড়কের স্থানীয় ও দূরপাল্লার গাড়িচালকদের। সড়কের উপরে অবৈধভাবে গাছ ও গাছের গুঁড়ি রেখে স্থায়ী ভাবে ব্যাবসা করায় এবং বড় বড় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান রেখে যানযট সৃষ্টি করায় ক্ষোভ স্থানীয়দের।

মোমেন খান,শাহীন সহ একাধিক পথচারীরা জানান, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রশাসন ম্যানেজ করে আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ধরনের ব্যবসা চালাচ্ছেন রাজাপুর উপজেলার প্রায় বিশ থেকে পঁচিশ জন ব্যবসায়ী। গাছ ও গাছের গুড়ির স্তুপ এবং এই গাছ পরিবহনের জন্য আসা ট্রাক আঞ্চলিক মহাসড়কের অর্ধেক জায়গা দখল করে এ ধরনের বানিজ্য বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

ব্যাস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়ক দখল করে ব্যাবসা করার কারন জানতে চাইলে গাছ ব্যাবসায়ী নাসির বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ’ একটু ব্যাবসা করে খাই। এখন যামু কই? সড়ক জুড়ে এ ধরনের ব্যাবসা করা বেআইনি কাজ বলেও স্বীকার করলেন তিনি।

লেবুবুনিয়া বাজার এলাকায় সড়ক দখল করে অপর এক গাছ ব্যাবসায়ী ইদ্রিস তালুকদার বলেন, সড়কের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে ট্রাক লোড আনলোড করলেও কোনো জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়না এবং ইউপি সদস্য মামুন ও মনিরের মাধ্যমে থানায় বাৎসরিক অনুষ্ঠানের সময় সকল গাছ ব্যাবসায়ী মিলে টাকা দিয়ে থাকি।

এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিম সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মোঃ মাসুদ রানা বলেন , যারা রাস্তার উপড়ে গাছ রেখে ব্যবসা করছে আমরা তাদের ফুটপাত পরিস্কার রেখে যারযার জায়গায় তার তার ব্যাবসা করার নির্দেশনাসহ সড়কের ব্যস্ততা কমলে ট্রাক লোড আনলোড করার নির্দেশনা দিয়েছি।

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button