রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স চালক, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মোঃ রাশেদুল ইসলাম, নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার অপরাধে অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আদালতের
নাটোরের লালপুরে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার দায়ে এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে স্বপ্রনোদিত হয়ে অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন নাটোরের সিনিয়র জুডিুসয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ।
এই আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. শহিদুজ্জামান বলেন, শনিবার আদালত লালপুরের ব্যক্তিমালিকানাধীন বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
আদালতের আদেশের বরাত দিয়ে মো. শহিদুজ্জামান আরো বলেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসকের পরিবর্তে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন। মুহুর্তেই সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, ওই হাসপাতালের রোগী বহনকারী ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে জরুরী বিভাগে রোগী দেখছেন।
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা দেয়ার সত্যতা পান। বিষয়টিকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২২ এবং ২৮ ধারায় ফৌজদারী অপরাধ বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।
শনিবার আসামীর বিরুদ্ধে স্বপ্রোনোদিত হয়ে অপরাধ আমলে গ্রহন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পাশাপাশি আগামী ১৯ অক্টোবর তারিখে আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন এই আদালত।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. সুরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমজাদ একজন রোগী নিয়ে আসেন ওই হাসপাতালে। এসময় জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. জামিলা আক্তার এবং তার সহকারী ইয়াসমিন অন্য রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে আমজাদ ওই রোগীর প্রেসার পরীক্ষা করেন। এতে করে আমাজাদ নিজেও বিপদে পড়েছেন হাসপাতালের সম্মানও নষ্ট করেছেন। তবে আদালতের কোন আদেশের বিষয়ে তিনি জানতে পারেন নি বলেও জানান তিনি।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনোয়ারুজ্জামান বলেন, আদালতের স্বপ্রনোদিত হয়ে আমলে গ্রহন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জেনেছি। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যাহত আছে। আদেশের কপি হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।