শ্রীপুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু!
শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে সহপাঠীদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে গিয়ে পুকুরে ডুবে সাইদুর রহমান তনু (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৫ মে) বিকেলের দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরআগে, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকার স্থানীয় সিরাজুল হক মাতবরের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইদুর রহমান তনু নাটোর জেলার বিরামপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মোঃ সাজ্জাদুর রহমানের ছেলে। সে জৈনা বাজার এলাকার জহিরের বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়ায় থেকে সেখানকার এইচ.একে একাডেমির নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো।
এলাকাবাসী ও কয়েকটি সুত্রে জানায়, স্কুল বন্ধ থাকায় রোববার সকালের দিকে মাঠে খেলার আয়োজন করা হয়। খেলা শেষে পৌঁনে এগারোটার দিকে সহপাঠীদের সঙ্গে ওই পুকুরে সাঁতার শিখতে নামে। একটি কলাগাছের টুকরায় ভর করে সে সাঁতরে পুকুরের মাঝখানে চলে যায়। একপর্যায়ে কলাগাছ থেকে হাত ফসকে পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায় সে। এসময় তার সঙ্গীদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন গিয়ে পুকুর থেকে সাইদুরকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে জাল ফেলে দুপুরের দিকে সাইদুরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীপুর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহমুদা আক্তার জানান, হাসপাতালে আনার পূর্বেই মারা যান সাইদুর রহমান। পরে বিকেলের পুলিশ তাঁর মরদেহ নিয়ে যায়।
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মাদবর বলেন, আমি এলাকায় ছিলাম না। তবে, শুনেছি আমার বাড়ির পাশের একটি মাঠে ওই স্কুলের খেলার আয়োজন ছিল। শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন। খেলা শেষে ছাত্ররা ওই পুকুরে গোসলে নামে। এক পর্যায়ে ওই শিশু ডুবে মারা যায় যায়।
এ বিষয়ে এইচ.একে একাডেমির প্রধান শিক্ষক শাহীন সুলতানা মুঠোফোনে জানান, স্কুলের আয়োজনে কোনো খেলা হয়নি। পরে ছাত্র পানিতে ডুবে যাওয়ার খবর শুনে আমি দুজন শিক্ষককে পাঠিয়েছি। তারা খুঁজাখুঁজি করে এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছেন।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান মনির মোহনা টেলিভিশন অনলাইনকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবে পুলিশ।