৭ কোটি টাকার ১০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩ 

মোঃ ইউসুফ মিয়া, রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের নয়নের মোড় এলাকা থেকে ১০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার এবং ইউপি সদস্যসহ ৩জন চোরাচালানিকে গ্রেপ্তার করেছে পাংশা মডেল থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত  আসামীরা হলো পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের হাজরাপাড়া গ্রামের মোঃ শুকুর আলী শেখের ছেলে মোঃ সাত্তার শেখ, সরিষা ইউনিয়নের বড় বনগ্রামের আবদুল খালেক বিশ্বাসের ছেলে মোঃ নাহিদুল ইসলাম (১৯) এবং কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের মৃত আয়েন উদ্দিনের ছেলে মোঃ জহুরুল ইসলাম (৩৮), জহুরুল কুষ্টিয়া জেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে  প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম,এম শাকিলুজ্জামান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, রাজবাড়ী জেলা পুলিশ দিন-রাত টহলের মাধ্যমে আসামি গ্রেপ্তার এবং জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় পাংশা মডেল থানার এস আই তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক টিম নিয়মিত মামলার আসামী গ্রেপ্তার করে ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে পাংশা থানার বাবুপাড়া ইউনিয়নের পাংশা-চাঁদপুর গ্রামের জনৈক আব্দুল হালিমের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে পুলিশের টিম দেখে একটি মোটর সাইকেলে দুই ব্যক্তি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

আভিযানিক টিমের মোটরসাইকেলটিকে সন্দেহ হলে তাদের গতিরোধ করলে তারা মোটর সাইকেল রেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের টিম তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হলে স্থানীয় তাহমিনা, ইউপি সদস্য মোস্তফা ও ইসলাম শেখসহ উপস্থিত লোকজনের সামনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সাত্তার জানান যে দৌড়ে পালানোর সময় সে তিনটি স্বর্ণের বার ফেলে দিয়েছিলো। তার দেখানো স্থান হতে ৩টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে ধৃত আসামি নাহিদের পরিহিত উভয় পায়ের জুতার মধ্য হতে কসটেপে মোড়ানো ৭ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ৭ কেজি ৩শ গ্রাম।

উল্লেখ্য, ১০ টি স্বর্ণের বারের মধ্যে ৯ টি অখন্ড বার এবং বাকী একটি বারের ভেতর ৬টি ছোট স্বর্ণের বিস্কিট ছিলো। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা।

প্রেস বিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সালাহউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্) মোঃ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইফতেখারুজ্জামান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মনিরুজ্জামান খান, পাংশা মডেল থানার ওসি মাসুদুর রহমানসহ প্রমূখ।

 

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button