প্রেমিকের উপর অভিমান করে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা  

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় প্রেমিকের উপর অভিমান করে রানী আক্তার মীম (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। নিহত মীম, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের দিমজুর আফছার মাতুব্বরের মেয়ে। তিনি সালথা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে মোবাইল ফোনে প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে মিম ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারের দাবি। তবে প্রেমিক ছেলেটির নাম ও ঠিকানা জানাতে পারেনি কেউ।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

মিমের বাবা আফছার মাতুব্বর বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমি ও আমার স্ত্রী বাড়ির পাশে একটি মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে যাই। মিলাদে যাওয়ার পর একটা ছেলে আমাকে ফোন করে বলে, আপনি তারাতারি বাড়িতে যান। বাড়ি গিয়ে আপনার মেয়ের কি অবস্থা তা দেখেন। আমি স্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত বাড়িতে এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকীর পরেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখি আমার মেয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। এরপর থেকে ওই ছেলের ফোন বন্ধ।

আমাদের ধারনা ঘটনার আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের ঝগড়া হয়। পরে অভিমান করে আমার একমাত্র মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আমি ওই ছেলের বিচার চাই। আমি গরীব মানুষ। তারপরেও মেয়েটা নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। ওকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিলাম।

গট্টি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন, আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি, তাতে সম্ভবত মেয়েটা তার প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।

wsসালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিমের বাবা-মা একটি মিলাদ মাহফিলে যান। বাড়িতে তাদের মেয়ে সালথা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মিম একা ছিল। মিমের সঙ্গে একটা ছেলের সম্পর্ক রয়েছে। প্রেম ঘঠিত বিষয় নিয়েই মিম ঘরের ফ্যানের সাথে শরীরের ওঁড়না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button