আজ মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম শোকাবহ দিন
আজ ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম শোকাবহ ঘটনার দিন। এদিন নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থাপনায় আঘাত হানে আল কায়েদা জঙ্গিরা। এতে প্রাণ হারায় কয়েক হাজার নিরীহ মানুষ।
নিউ ইয়র্কের মাটির ওপর বুক দাঁড়িয়ে থাকা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। এটি কেবল স্থাপত্যকলার এক বিস্ময়কর নিদর্শনই নয়- ছিল মার্কিন মুলুকের অহঙ্কারের স্থাপনাও। হঠাৎ করেই একের পর এক ক্ষিপ্র বিমানের হামলায় নিউ ইয়র্ক শহরের মানচিত্রই কেবল পাল্টায়নি- উল্টে দিয়েছে ইতিহাসের পাতাও; যার নাম নাইন- ইলেভেন।
২০০১ সালের এ দিনে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র। ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন আল কায়েদার জঙ্গিরা এ হামলা চালায় বলে জানায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এতে দুই হাজার ৯৯৬ জন মানুষ প্রাণ হারায়। আহত হয় আরও ছয় হাজারের বেশি মানুষ।
ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমাবিশ্বের যুদ্ধের ধারাবাহিকতায়, বুশের সন্দেহের তীর বিদ্ধ করলো আল কায়েদা বিন লাদেনকেই।
সেদিন আল কায়েদার ১৯ জন সন্ত্রাসী ছিনতাই করে চারটি যাত্রীবাহী বিমান। ১৭ মিনিটের ব্যবধানে টুইন টাওয়ারের দুটি ১১০ তলা ভবনে আঘাত হানে দুটি বিমান। আকাশ ছোঁয়া ভবন দুটি ধসে পড়ে মাত্র দুই ঘন্টার ব্যবধানে। তৃতীয় বিমানটি আঘাত হানে দেশটির প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে। আর, ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে হামলার পরিকল্পনায় থাকা চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভেনিয়ার একটি মাঠে।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, আগে থেকেই সতর্কবার্তা পেলেও, এ ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মার্কিনীরা।
হামলার পরই আল কায়েদাকে নিশ্চিহ্ন করতে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শুরু করেন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। যদিও হামলায় জড়িত ১৯ জনের ১৫ জনই সৌদি নাগরিক।
১১ সেপ্টেম্বরের ওই হামলার পর নিহতদের সম্মানে নির্মিত হয় গ্রাউন্ড জিরো মেমোরিয়াল। ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও ভয়াবহতম এই সন্ত্রাসী হামলার ক্ষত এখনও শুকোয়নি দেশটিতে।
তবে, নাইন-ইলেভেন খ্যাত সেই হামলার ঘটনা নিয়ে যেমন আজও আছে বিতর্ক- তেমনি আছে সন্দেহের ধূম্রজালও।