এক বোনের কথা রাখতে আরেক বোনের স্বামীকে হত্যা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি- রুবায়েত বাপ্পী

ময়মনসিংহে খালাতো বোনকে বিয়ে করায় বিক্ষুদ্ধ মা খুন করলেন ছেলের শশুর আপন বোনজামাইকে, হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজন আটক, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের বিচার চান নিহতের সন্তান পরিবার ও এলাকাবাসী

মায়ের পছন্দের পাত্রিকে বিয়ে না করে নিজ পছন্দের পাত্রিকে বিয়ে করার জেরে আপন বোন জামাইকে হত্যা করেছে পাত্রের মা ও বর কনের আপন মামারা।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

জানাযায় মাসখানেক আগে ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা এলাকার তসলিমা আক্তারকে তার আপন খালাতো ভাই উসমান প্রেম করে বিয়ে করেন। বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননি উসমানের মা রানু বেগম। এনিয়ে  দুই পরিবারের মধ্যে অন্তদ্বন্দ চলছিলো । সেই দ্বন্দ্ব ও ক্ষোভের জেরে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলামকে (৪০) মোবাইলে ডেকে এনে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে রানু বেগম ও তার দুই ভাই। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

তথ্যমতে গত ১৭ এপ্রিল পরিবারের অমতে খালাতো ভাই উসমান তসলিমাকে বিয়ে করে ভাড়া বাসায় সংসার পাতেন। বিয়েটি কোন ভাবেই মেনে নেননি উসমানের মা রেণু বেগন। আর সেই ক্ষোভ ও জেদের বসবতি হয়ে রোববার সন্ধ্যায় নগরীর মাসকান্দা দক্ষিণপাড়া শাহী মসজিদের পাশের একটি দোকানের ভেতর তাসলিমার বাবা রফিকুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন রেণু বেগম ও তাঁর দুই ভাই আনিসুর রহমান ও সাদ্দাম। স্থানীয়রা বলেন এমন লোমহর্ষক ঘটনায় বিস্মিত তারা। জগন্য এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবি তাদের….

আপন খালা ও মামাদের হাতে পিতা খুন হওয়ায় সন্তানের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে এসেছে। এতিম সন্তানদের বুকফাটা আর্তনাদে আশপাশের লোকজনও বাকরুদ্ধ। একমাত্র উপার্জনক্ষম পিতাকে হারিয়ে বিলাপ যেনো থামছে না নিহতের সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের। হত্যায় জড়িত আপন খালা ও মামাদের ফাঁসি চান এতিম হওয়া চার ভাইবোন….

এ বিষয়ের নিহতের ভাই বাদল মিয়া বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে, মামলায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছে রানু সহ চারজন।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, ঘটনার পর পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে….

 

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button