ধান কেটে কৃষকের ঘরে নিরাপদে পৌঁছে ‍দিতে ছাত্রলীগের আহ্ববান

কৃষি ও খাদ্যশস্যে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার কারিগর বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসার কেন্দ্রস্থল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুতনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা ৷ তাঁর উন্নয়ন দর্শনের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে কৃষি ও কৃষক। কৃষি উন্নয়নে তাই তিনি গ্রহণ করেছেন যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ। একারণেই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও চরম খাদ্যঘাটতির মধ্যেও দেশের কৃষকের মুখে হাসি ধরে রেখে মানুষের খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে৷

কৃষি উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, কৃষি গবেষণায় বিপুল অর্থের জোগান, বিভিন্ন আবহাওয়া সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন, খরা ও লবণাক্ততা উপযুক্ত কৃষি ব্যবস্থা, উচ্চ ফলনশীল জাত প্রচলন, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি-মৎস্য- গবাদী পশুপালন, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সরাসরি বিপণন ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষতিরোধ, ন্যায্যমূল্যে সার ও জ্বালানী তেল সরবরাহ, সেচ মৌসুমে নিরবিচ্ছিন্ন ও স্বল্পমূল্যে বিদ্যুৎ বিতরণ, সড়ক উন্নয়ন ও সেতু নির্মাণের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের মাধ্যমে কৃষকের কায়িক শ্রম কমিয়ে আনা ইত্যাদি উদ্যোগের ফলে কৃষিবন্ধু শেখ হাসিনা দেশকে খাদ্যদ্রব্যে আত্মনির্ভরশীল করেছেন।

খনা তার বচনে বলেছেন, “উঠান ভরা লাউ শসা, খনা বলে লক্ষ্মীর দশা” । আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খনার ন্যায় দেশবাসীকে প্রতিটি বাড়িকে একটি করে খামার হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের এক ইঞ্চি মাটিও যেন অনাবাদি না থাকে, পতিত জমিতে যেন ফসল উৎপাদন ও গবাদি পশুপালন করা হয় সে নির্দেশ প্রদান করেছেন। শুধু নির্দেশ প্রদানই নয়, তার বাসভবন গণভবনকে তিনি একটি আদর্শ কৃষি খামারে পরিণত করেছেন, পিতৃভূমি গোপালগঞ্জে পারিবারিক জমি দান করেছেন সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থায় কাজে লাগাতে ৷ এসব আহ্বান ও উদ্যোগে সাড়া দিয়ে শহরের প্রতিটি ছাদ, প্রত্যেক ব্যালকনি, গ্রামীণ বাড়িঘরে নিজ উদ্যোগে চাষাবাদ করে মানুষ পরিবারের খাদ্য যোগান দিয়ে যাচ্ছে।

বাঙালির মহান মুক্তিসংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে এদেশের কৃষক ও ছাত্রসমাজ অস্ত্রহাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছে। ভাষা, ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্লের যে নিরন্তর সংগ্রাম তাতে নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে এদেশের কৃষক ও ছাত্রসমাজ ৷

বাংলার ছাত্রসমাজের নির্ভরতার একমাত্র ঠিকানা, স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহীদের রক্তস্লাত সংগঠন বংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র ও যুবসমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে, চলতি বোরো মৌসুমে ক্ষেত থেকে ধান কেটে কৃষকের ঘরে নিরাপদে পৌঁছে দিতে তারা যেন নিরবচ্ছিন্ন, নিরলস ভূমিকা পালন করে। অতীতের ন্যায় এবছরও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধান কেটে কৃষকের কাছের বন্ধুতে পরিণত হবে, এটিই সংকল্প ৷ জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ৷

 

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button