
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নওগাঁর ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙ্গনের ফলে পানিতে ভাসছে শতাধিক গ্রামের মানুষ।
পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের খেত। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আত্রাই উপজেলা। তবে নদী থেকে পানি কমতে শুরু করায় নিমজ্জিত এলাকা থেকে নামতে শুরু করেছে পানি। এতে করে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আত্রাই উপজেলার কাশিয়াবাড়ি-কালীগঞ্জ সড়কের বলরামচক নামক স্থানে, আত্রাই-সিংড়া সড়কের জগদাস নামক স্থানে ও পাশাপাশি শিকারপুর নামক স্থানের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৮০টি গ্রাম বর্তমানে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
অপরদিকে রাণীনগরের নান্দাইবাড়ি নামক স্থানের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় নান্দাইবাড়ি, কৃষ্ণপুর, মালঞ্চিসহ ওই এলাকার ৩টি গ্রামের মানুষ বর্তমানে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে নওগাঁ-আত্রাই-নাটোরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। জিওব্যাগের মাধ্যমে ওই ভাঙ্গা স্থানটি বন্ধ করতে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গত শুক্রবার জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বিভিন্ন ভাঙ্গা স্থান পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে জেলার ৩টি উপজেলার বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার ও চাল বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল জানান, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত শুধুমাত্র ছোট যমুনা নদীর পানি লিটন ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৬সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।