বামন্দী-দেবিপুর সড়কে গণডাকাতি, ডাকাতদলের হাত থেকে রক্ষা পাইনি ইউপি সদস্য

ফারুক আহমেদ,মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী বামন্দী-দেবিপুর সড়কে আবারো গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদলের হাত থেকে ইউপি সদস্য,সাংবাদিক,রোগী ও পথচারী কেউ রক্ষা পাইনী।

শনিবার দিবাগত রাত ১১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের অদুরে বামন্দী-দেবিপুর মাঠে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

বামন্দী বাজারের সাবান আলীর ছেলে মাইক্রোবাস চালক রাজিব হোসেন বলেন,তিনি রাজশাহী থেকে রোগী নিয়ে করমদী গ্রামে রেখে বামন্দী আসার পথে ডাকাতদলের কবলে পড়েন। এসময় তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও মাইক্রোবাসের গ্লাস ভেঙ্গে দেয়।

দেবিপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বিডি টোয়েন্টিফোর লাইভ ডটকমের মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি জাহিদ মাহমুদ বলেন, মোটরসাইকেল যোগে বামন্দী বাজার থেকে রাত ১১ টার দিকে নিজবাড়ি দেবিপুর যাওয়ার পথে ডাকাতদল পথরোধ করে নগত টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি ট্রাকের ভিতর বসিয়ে রাখে। এছাড়া ট্রাকের ভিতর আরো অন্তত ১৫ জন পথচারীকে আটকিয়ে রাখে ডাকাতদল। পরে রাত ২ টার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিতি হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।

ব্রজপুর গ্রামের আব্দুস সালাম ও তার ভাইরা ফিরোজ আলী জানান,আমরা বামন্দীর একটি ক্লিনিকে রোগী রেখে রাতে দেবীপুর গ্রামের আমাদের শ্বশুর আবু বক্করের বাড়ি আসছিলাম। বামন্দী- দেবীপুর সড়কের মাঝামাঝি পৌঁছালে ডাকাত দল আমাদের পথ আটকে দেয়। এ সময় আমাদের দুজনের কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা পকেট থেকে জোর করে ডাকাত দল ছিনিয়ে নেয়। এসময় তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি সদস্য করমদী গ্রামের আব্দুল ওহাবও ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতদল প্রথমেই আমাদের মোবাইল নিয়ে নেয় একারনে আমরা কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনী।

বামন্দী ইউপি ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ হিরক আলী বলেন,ডাকাতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। একারনে রাতে আরও পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি করেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) অপু সারোয়ার বলেন,ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহিৃত করার চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।

 

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button