চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী উদ্যোক্তাকে ধর্ষণের অভিযোগ ভোলাহাট খানার ওসির বিরুদ্ধে
মো.তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট থানার ওসির বিরুদ্ধে এক নারী উদ্যোক্তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নাচোল উপজেলার ভূক্তোভোগী ওই নারী উদ্যোক্তা।
এদিকে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় ওসি সেলিম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করে চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এনিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ওই নারী উদোক্তা। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন- প্রায় বছরখানেক আগে একটি মামলার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পরিচয় হয় তৎকালিন নাচোল থানার ওসি সেলিম রেজার সঙ্গে। এর পর থেকে তাঁর সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। মাঝে মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের আম বাগান এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে দেখা হত। এর পর সেলিম রেজা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাঁর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মাঝ পাড়ার বাসায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ধর্ষণ করে গত বছরের ১৯ আগস্ট। এর পর সেলিম রেজা ভোলাহাট থানায় বদলি হলেও সম্পর্ক চালিয়ে যান। ঘটনাটি ওসি সেলিম রেজার স্ত্রী জেনে গেলে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাপ দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে । এর পর থেকেই সেলিম রেজা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ওই নারী আরও বলেন, প্রেমিক ওসি সেলিম রেজার সঙ্গে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ভোলাহাট থানায় যান দেখা করতে। এসময় পুলিশ সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে থানা হতে তাকে তাড়িয়ে দেন। এর পর আবারও ২২ জানুয়ারী বিয়ের দাবিতে ভোলাহাট থানায় গেলে আবারও কয়েকজন পুলিশ সদস্য মারধর করে আটকে রাখে সারারাত।
ভুক্তভোগী নারী আরোও জানান, ২৩ জানুয়ারী ৫৪ ধারায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করে তাকে। পুলিশের মামলায় সাতদিন কারাগারে থাকেন তিনি। সে সময় ওই নারীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ওসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ছবি,কথোপকথনসহ সব ডকুমেন্টস ডিলেট করে দেয়া হয়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে থানায় গেলে ওসি মুচলেকা নিয়ে মোবাইলফোনটি ফেরত দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো:আবুল কালাম সাহিদ জানান,পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে পাঠানো একটি ভিডিও ফুটেজ তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওসি সেলিম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করে চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।