নড়াইলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ

নড়াইল প্রতিনিধি: হাফিজুল নিলু

সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ। এ প্রকল্পের আওতায় প্রথম ফেইজে ঢাকার কমলাপুর থেকে রেললাইন শুরু হয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত । দ্বিতীয় ফেইজে ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা হয়ে নড়াইলের লোহাগড়া ও সদর উপজেলার ওপর দিয়ে যশোরের সিঙ্গিয়া জংশনের সাথে মিলিত হবে এ রেললাইন। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত থাকবে মোট ১০টি স্টেশন। এরমধ্যে ৭টি স্টেশন নতুন ভাবে নির্মিত হচ্ছে। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৩১টি ব্রিজ, ৮৯টি কালভার্ট ও ৮৪টি আন্ডারপাস রয়েছে।  সবমিলিয়ে ৮০কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপনে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৫শত কোটি টাকা। তবে, ঢাকা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া পর্যন্ত মোট ১৬২ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপনে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ দশমিক ৮০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরসি) এ রেলরাইনের নির্মান কাজ বস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত কনস্ট্রাকশন, সুপারভিশন, কনসালটেন্ট (সিএসসি) এর অধীনে ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যগণ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) এবং দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ পরামর্শকগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রকল্পের ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

ইতোমধ্যে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের বেশকিছু ব্রিজ-কালভার্ড ও আন্ডারপাস দৃশ্যমান হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে।

করোনা মহামারীর এ কঠিন পরিস্থিতির পরে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেইজের কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের এ অংশের কাজ সম্পন্ন হলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী এবং নড়াইলের লোহাগড়া ও সদর উপজেলার মানুষের জীবন-মান বদলে যাবেÑ, এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসির।

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button