প্রবাসীর ‘ইমো’ হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৪ জন গ্রেফতার

মোঃ রাশেদুল ইসলাম, নাটোর প্রতিনিধি

সৌদি প্রবাসীর “ইমো” হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নাটোেরর লালপুর থেকে ইমো হ্যাকিং চক্রের পলাতক ৪ সদস্য গ্রেফতার

নাটোর র‌্যাব-৫ ক্যাম্প (সিপিসি-২) জানান, তথ্য- প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাটোরের লালপুর উপজেলার বীরোপাড়া ও বিলমারীয়া গ্রামে কোম্পানী অধিনায়ক, অতিঃ পুলিশ সুপার, মোঃ ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানী উপ-অধিনায়ক, সহকারী পুলিশ সুপার, মোঃ রফিকুল ইসলাম দ্বয়ের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ’ইমো’ হ্যাক করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় অভিযোগে বীরোপাড়া এলাকার মোঃ আতাউর রহমানের ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন (২৪), ও মোঃ মোজদার সরদার এর ছেলে মোঃ বিজয় সরদার (২২), লালপুরের বাকনাই এলাকার মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ মোহন আলী (২৩),ও মোঃ শরিফুল ইসলামের ছেলে মোঃ আল আমিন আহমেদ (২০) কে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল সেট, প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ১৭ টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার শেখদী গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্দুল মালেকের বোনের স্বামী মোঃ জাকির হোসেনের (৪৫) গত ১৩ ফেব্রুয়ারী ইমো আইডি হতে অভিযোগকারীর বোনের ইমো আইডিতে মেসেজ আসে যে তার স্বামী সৌদি আরবে বিপদে আছে তার নগদ অর্থে প্রয়োজন এবং অর্থ প্রেরণের জন্য বিকাশ নম্বর দেয়।

ভুক্তভোগী উক্ত মেসেজের প্রেক্ষিতে সরল বিশ্বাসে প্রেরিত বিকাশ নম্বরে ৫৫ হাজার- টাকা পাঠায়। পরে ভুক্তভোগী বুঝতে পারে যে, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র তার স্বামীর ইমো একাউন্ট হ্যাক করে প্রেরিত বিকাশ নম্বরগুলো দিয়ে তার সাথে প্রতারণা করে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযোগকারী বাদী হয়ে নাটোরের লালপুর থানার মামলা নং-০৩, তারিখ- ০২/০৩/২০২৩ খ্রিঃ, জিআর নং- ৮৮, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ধারা- ২০/২৪/৩৪/৩৫ এ মামলা দায়ের করেন।  উক্ত ঘটনায় পলাতক মোঃ আরিফ হোসেন (২৪) সহ অন্যান্য সহযোগীগন পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের একটি দল গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য-প্রযুক্তির ভিত্তিতে নাটোরের লালপুর উপজেলার বীরোপাড়া ও বিলমারীয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাকৃত ০৪ জন আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের “ইমো” ব্যবহারকারীদের ইমো হ্যাক করে এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিচিত জন দের নিকট হতে প্রতারণা করে মোবাইল ফিন্যান্সিং সার্ভিস (বিকাশ) এর মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়। আসামীদের নাটোরের লালপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button