বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

আতিক রহমান, বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু ও উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সংঘর্ষে সংসদ সদস্যের পিএস মোহাম্মদ রেজা ও যুবলীগ নেতা বাদশা আলমগীর, ইমাম হোসেন আহত হয়েছেন। তবে এঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন সংসদ সদস্য  ও উপজেলা চেয়ারম্যান। সংসদ সদস্য বাবলু অভিযোগ করেছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ছান্নুর নেতৃত্বে যুবলীগের নেতারা তার উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে।

এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান  হামলার অভিযোগ অস্বিকার করে বলেছেন সংসদ সদস্য তার ব্যক্তিগত পিস্তল উঁচিয়ে তাকে হুমকি দিয়েছেন।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের ২য় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেন ছান্নু বলেন, সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলুর শ্যালক ও তার (ব্যক্তিগত সহকারি) পিএস রেজা বিভিন্ন প্রকল্প দেয়ার কথা বলে যুবলীগ নেতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। দীর্ঘদিনেও সেই প্রকল্প না দিয়ে তালবাহানা করছিলেন।

বুধবার সকালে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দেয়ার জন্য সংসদ সদস্য উপজেলা পরিষদে আসেন। এ সময় তার ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) রেজাকে পেয়ে যুবলীগ নেতারা টাকা ফেরত চান।এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হলে আমি (উপজেলা চেয়ারম্যান) থামানোর জন্য এগিয়ে যাই। এ সময় সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু তার ব্যক্তিগত পিস্তল বের করে হত্যার উদ্দেশ্যে তাক করেন। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ও পরিষদের লোকজন এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, আমি সংসদ সদস্য হিসেবে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা। বুধবার আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দেয়ার জন্য উপজেলা পরিষদে পৌঁছে। সভা কক্ষে প্রবেশের আগে আমি ইউএনও’র সাথে সাক্ষাতের জন্য তার কক্ষের সামনে অপেক্ষা করছিলাম।

এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু ও উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক বাদশা আলমগীরের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। হামলায় আমার ব্যক্তিগত সহকারি রেজা গুরুতর আহত হন। আমি আত্মরক্ষার্থে আমার লাইসেন্স করা ব্যক্তিগত পিস্তল বের করি।

আরোও পড়ুন : মাদারীপুর শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানী অভিযোগ

প্রকল্প দেয়ার নামে যুবলীগ নেতাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলুবলেন, কে কার কাছে টাকা নিয়েছে সে বিষয় নিয়ে তো আমার কাছে অভিযোগ দেয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা না করে উপজেলা চেয়ারম্যানের মত দায়িত্বশীল পদে থেকে সংসদ সদস্যের ওপর হামলা মেনে নেয়া যায়  না।

 

 

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button