বন্য়ার ভয়াবহতার আশংকা পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জের

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: মোঃ ছানু মিয়া

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, বানিয়াচং, লাখাই ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রামের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যার্থদের জন্য ৪০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের প্যাকেট উপজেলা পর্যায়ে পৌছে দেয়া হয়েছে।

আজমিরীগঞ্জের গরুর বাজার, চর বাজার, নিজ বাজার, লঞ্চঘাট, জয়নগর, আদর্শনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।  কালনী, কুশিয়ারা নদীর পানি বাঁধ উপছে প্রবেচ করতে শুরু করেছে। নিকলির ঢালা ভেঙে পাহারপুর-মার্কুলি সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি মানুষকে আজমিরীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ও উচু সরকারী ভবনে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

এছাড়া নবীগঞ্জ উপজেলার শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বালির বস্তা দিয়ে বাধ রক্ষার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতিমধ্যে দীঘলবাক, আউশকান্দি, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।

এদিকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নিকট খোয়াই নদীর বাধ ভেঙে হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড  উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অ.দা.) মিনহাজ আহমেদ শোভন জানান, আজমিরীগঞ্জের নিকলী ঢালা বাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বানিয়াচং উপজেলারও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর, রাধাপুর, দিঘলবাগ ও দূর্গাপুর এলাকায় বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করছে। আউশকান্দি ও দিঘলবাগ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্টেট (এনডিসি) শাহ জহুরুল হোসেন জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলার বন্যা কবলিতদের জন্য ইতিমধ্যে ৩০ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে পৌছে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জের বন্যা দুর্গতদের জন্য ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রেরণ করা হয়েছে।

author avatar
Editor Online
Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button