ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শুভ্র হত্যার রায়ে ৭ জনের ফাঁসি

রুবায়েত বাপ্পী, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শুভ্র হত্যার রায়ে ৭ জনের ফাঁসি । ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল।  মূল পরিকল্পনাকারীকে বাদ দিয়ে রায় ঘোষনার অভিযোগ শুভ্রর পরিবারের। ন্যায় বিচারের আশায় উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষনা শুভ্র’ র বাবার

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলার রায় দিয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল।

হত্যার অভিযোগে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ৯ জন মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।

১০ অক্টোবর সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শুভ্রর পরিবার। গৌরীপুরের মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে খালাশ দিয়ে রায় প্রদান করায় তারা জানান শুভ্র হত্যার মুল পরিকল্পনাকারীকে খালাস দেয়া হয়েছে, এতে আমরা সন্তোষ্ট নই, শুভ্রর বাবা সিদ্দিকুর রহমান বলেন রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো ।

এর আগে ৬ অক্টোবর আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়।মামলার আসামি ছিলেন গৌরীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামসহ ১৯ জন।

রায়ে ফাঁসির আসামিরা হলেন গৌরীপুরের মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদ, গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ রেজা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোজাম্মেল হক, খাইরুল ইসলাম, মাঈন উদ্দিন, রুহুল আমিন ও শরীফুল ইসলাম নাঈম।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মাসুদ পারভেজ কার্জন, ছাত্রদলকর্মী শরীয়তউল্লাহ ওরফে সুমন ও যুবদলকর্মী রাসেল মিয়া। মামলায় ১৯ আসামির মধ্যে বাকিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন গৌরীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাজাহারুল ইসলাম জুয়েল, ছাত্রদলকর্মী রিফাত, মো. আবু হানিফা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুবদলকর্মী মজিবুর রহমান, কামাল মিয়া ও শাজাহান মিয়া।

আরোও পড়ুন : বগুড়া সদরের শেখেরকোলা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন

২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর গৌরীপুর মধ্যবাজার পান মহালে রাত ১০টার দিকে শুভ্রকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে নিহতের ছোটভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ১৯ জনকে দায়ী করে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

 

 

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button