লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

জেলা সদরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আলী মোহনকে (৩৫) শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্ত্রী দিলু বেগমকে (২৮) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে এ রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম। রায়ের সময় আসামী দিলু বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলো না।

দণ্ডপ্রাপ্ত দিলু বেগম ফেনী জেলার চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী মোহন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের কালিদাসের বাগ গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দিলু বেগম পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী মোহনকে হত্যা করে। উক্ত মামলায় সাক্ষ্য প্রমান শেষে দিলু বেগমকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি দিলু বেগম জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাতে নিজ বসতঘরে খুন হয় আলী মোহন। ঘটনার রাতে সে স্ত্রী দিলু বেগম ও তাদের ৫ বছরের মেয়ে তিশাকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই রাতে মোহনের মা জাহানারা বেগম (৬০) বাড়িতে ছিলেন না। রাত ১ টার দিকে তিনি মোবাইল ফোনে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পান। মৃতদেহের গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। পরদিন ৩১ মার্চ মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ছেলেকে হত্যার অভিযোগে পুত্রবধূ দিলু বেগমকে আসামী করে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করেন সদর মডেল থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জলিল। তিনি স্বামী মোহনকে হত্যার দায়ে দিলু বেগমকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ভিকটিম মোহন কাজের সুবাধে ফেনীত থাকতো। সে নেশা করতো। এ নিয়ে স্ত্রীর সাথে তার ঝগড়া হতো। ঘটনার রাতে সে ফেনী থেকে বাড়িতে আসে। ওই রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দিলু বেগম তার স্বামী মোহনের গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button