১৭ মাস কারাভোগ শেষে আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরলেন ভারতীয় যুবক

মোঃ মোশারফ হোসেন কবির, আখাউড়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী এক ভারতীয় নাগরিককে ১৭ মাস পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। রোববার দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফ’র উপস্থিতিতে আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ আগরতলা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে। ভারতীয় ওই নাগরিক হলো ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ উনকোটি জেলার ইরানি থানার মাগুরআলী গ্রামের মোঃ আফরোজ আলীর ছেলে মোঃ তাজমুল হোসেন (৩২)। এসময় তার ভাই নামজুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সনের ২১ মে ভারতীয় নাগরিক তাজমুল হোসেন বাংলাদেশে স্বজনদের দেখার জন্য মৌলভী বাজার জেলার কুলাউড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে বিজিবি আটক করে তাকে পুলিশে দেয়। পরে পুলিশ তাকে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। পরে দীর্ঘ ৬ মাস পর বিজ্ঞ আদালত তাকে ৩ দিনের কারাদন্ড এবং ৫ শ টাকা জরিমানা করেন। সাজা শেষে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন পক্রিয়া শেষে ভারতে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে ১৬ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর সম্মতি পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে তাকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয় ফেরত পাঠানো হয়।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস, আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর নিয়ামুল হোসাইন, বিজিবি আখাউড়া আইসিপির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার সাদিকুর রহমান, নায়েক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, আগরতলার বটতলা থানার এসআই অভিজিত, আগরতলা ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারি পরিচালক ডি বড়য়া প্রমুখ।

আখাউড়া চেকপোষ্টের সীমান্তের শূণ্য রেখায় তাজমুল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষেদের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভী বাজার জেলায়। আমি আত্মীয় স্বজনকে দেখার জন্য বাংলাদেশে এসেছিলাম। পরে বিজিবি আমাকে আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ  কোয়ারেন্টাইন করিয়ে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে পাঠায়। সেখানে ৬ মাস থাকার পর আমাকে আদালতে উঠানো হয়। আদালত আমাকে ৩ দিনের সাজা দেয়। তারপর দেশে কাগজপত্র পাঠায়। আজকে দেশে ফিরে যেতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে।

 

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button