৩ ব্যক্তি হত্যার ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে জলদস্যু বাহিনী প্রধান খোকনসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

মামুনুর রশিদ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মেঘনা নদী বেষ্টিত চর আবদুল্লাহর জনতা বাজার এলাকায় জলদস্যু বাহিনীর হাতে ৩ ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় ৪৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আমলী আদলতে (রামগতি) নিহত কবিরের (৪০) মা বিবি সাহিদা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এতে জলদস্যু বাহিনী প্রধান খোকন ও তার সহযোগী উপজেলার চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শেখ ফরিদসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

বাদী বিবি সাহিদা চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের চর আবদুল্লাহ গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী। প্রধান আসামি খোকন নোয়াখালী উপজেলার সুবর্ণচরের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তার নামে জলদস্যু বাহিনী রয়েছে।

রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না। তিনি  বলেন, মামলাটি আদালতে বিচারক আনোয়ারুল কবির আমলে নিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হত্যার ঘটনা ঘটেছে রামগতির চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের জনতাবাজার এলাকায়। পরে ভিকটিমদের মরদেহ নোয়াখালীর জেলার হাতিয়া উপজেলার চরঘাসিয়ায় নিয়ে লুকিয়ে রাখে। পরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন অভিযান চালিয়ে চরঘাষিয়া এলাকা থেকে খুন হওয়া ৩ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে।

এজাহার সূত্র জানায়, আসামিদের সঙ্গে বাদী সাহিদাদের চর আবদুল্লাহ এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। জলদস্যু বাহিনী খোকন অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দেড় বছর কারাগারে ছিলেন। জামিনে বের হয়ে খোকন ও ডাকাত ফরিদ তাদের সহযোগীদের নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চরে ফের ত্রাসের রাজত্ব শুরু করে। ঘটনার দিন ২৯ সেপ্টেম্বর ভোরে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভিকটিমদের ওপর ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলা করে। এসময় খোকন আগ্নোয়াস্ত্র দিয়ে কবিরের বুকের বাম পাশে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। একই সময় ডাকাত ফরিদও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে শাহরাজের (২৮) বুকের বাম পাশে গুলি করে। এতে তিনিও ঘটনাস্থলে মারা যান। অন্য আসামিদের মধ্যে একজন ভিকটিম নবীর (৩৩) গলার নিচে গুলি করে। তাৎক্ষণিক নবী মাটিতে লুটে পড়ে।

পরে আসামিরা কবির ও শাহরাজের মরদেহসহ আহত নবীকে নিয়ে পাশ্ববর্তী হাতিয়া উপজেলার চরঘাসিয়া এলাকা চলে যায়। সেখানে কবির ও শাহরাজের মরদেহসহ আহত নবীকে লুকিয়ে রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে হাতিয়ার পুলিশ প্রশাসন অভিযান চালিয়ে মরদেহসহ নবীকে উদ্ধার করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে নবীকেও কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। নিহত শাহরাজ চর আবদুল্লাহ গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের ছেলে ও নবী একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে।

 

 

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button