কথায় আছে, জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ এই তিনটি বিষয়ে আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এ সবই হল পূর্ব নির্ধারিত। বলা হয়ে থাকে, প্রেম স্বর্গীয়। তবে এখানে তো গল্পটাই অন্য! শাশুড়ি-জামাইয়ের প্রেম! সামাজিক নিয়ম কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তারা বিয়েও করেছেন। গ্রামবাসীর সামনে শাশুড়ির সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছেন জামাই।
ভারতের বিহারের বাঁকা জেলার সদর থানা এলাকার ছত্রপাল পঞ্চায়েতের হীরমতি গ্রামে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়েই এখন জোর চর্চা চলছে।
জানা গেছে, শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই জামাইয়ের সঙ্গে শাশুড়ির বিয়ে দিয়েছেন। প্রেমের কথা কয়েকদিন ধরেই কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল। তাই আর দেরি করেননি তারা। শাশুড়ি-জামাইয়ের রেজিস্ট্রি ম্যারেজও হয়েছে।
হীরমতি গ্রামের বাসিন্দা দিলেশ্বর দারভে প্রায় আড়াই দশক আগে ওই জেলারই কাটোরিয়া ব্লকের ধোবনির সিকান্দার যাদবের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে দেন। সিকান্দরের প্রথম স্ত্রী বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই মারা যান। পরে দ্বিতীয় বিয়েও টেকেনি। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন সিকান্দর।
এদিকে প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তান। তাই মাঝে মধ্যেই সেখানে যেতেন। ৪৫ বছর বয়সী শাশুড়ি গীতা দেবীকে ফোন করতেন। কথা হত দুজনের। কথা বলতে বলতেই কখন দুজনেই দুজনের প্রেমে পড়ে গিয়েছেন তা টের পায়নি কাক পক্ষীও। শুধু সন্দেহ হয় শ্বশুর দিলেশ্বর দালভের।
জামাই ও শাশুড়ির মধ্যে প্রেম ক্রমশ গাঢ় হয়। একদিন সব ধরা পড়ে যায় শ্বশুরের কাছে। পরে সবাইকে অবাক করে স্ত্রীর সঙ্গে জামাইয়ের প্রেম সফল করার উদ্যোগ নেন তিনি। প্রথমেই নিজের সম্প্রদায়ের লোকেদের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। জানান নিজের মনের কথাও। সবাই রাজি হয়। এরপর কার্যত তার উদ্যোগেই গ্রামবাসীর সামনে শাশুড়ির সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন জামাই সিকান্দর।
নিজের প্রেমের কথা বলতে গিয়ে সিকান্দর বলেন, স্ত্রী মারা গেলেও শাশুড়ির বাড়িতে যেতাম। ফোনেও কথা হত। সেখান থেকেই প্রেম। তবে বুঝতে পারিনি কখন দুজনে দুজনের প্রেমে পড়লাম। তারপর আর দেরি করিনি, বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। বিয়ে প্রসঙ্গে গীতা দেবী বলেন, জামাইকে বিয়ে করে আমার কোনও আক্ষেপ নেই।