Site icon Mohona TV

আজ থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আজ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। খাদ্য সহায়তা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৬৫ দিনের জন্য ৮৬ কেজি ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২ জেলে পরিবারকে ভিজিএফ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মে-জুন মাস হচ্ছে সাগরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম। প্রজনন নিরাপদ ও প্রজননের পর রেণু মাছের বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ৬৫ দিন গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

যদিও মৎস্যজীবীদের দাবি, এ সুযোগে ভারতীয় ট্রলারগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ আহরণ করে। তারা ভারত ও বাংলাদেশে একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি করে আসছেন।

নিষেধাজ্ঞা জারি করায় জেলে পাড়ায় হাহাকার শুরু হয়ে গেছে। এমনিতেই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ। এমন অবস্থায় উৎকণ্ঠায় উপজেলার কয়েক হাজার জেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, বৃষ্টি না হওয়া, তাপমাত্রার কারণে সাগর নদীর পানি গরম থাকায় ইলিশ তো দূরের কথা গত দুই মাস ধরে জালে মাছ ধরা পড়ছে না। জেলেদের এমন দুঃসময়ের মধ্যেই মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এই সময়ে সংসারের খরচ, দাদন ও ঋণের টাকার জোগান হবে কোথা থেকে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা।

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, সাগরে নিষেধাজ্ঞায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এক মাস পার্থক্য। ভারতের নিষেধাজ্ঞা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এই সময়ে ভারতীয় জেলেদের বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ নিধনের আশঙ্কা নেই।

Exit mobile version