বিশ্বজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে আগ্রাসনের শিকার নির্দোষী শিশুদের স্মরণে একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক দিবস। বিশ্বে সংঘটিত বিভিন্ন ধরণের আগ্রাসন এবং পীড়নের শিকার শিশুদের স্মরণ করতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই বিশেষ আন্তর্জাতিক দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
আগ্রাসনের শিকার আন্তর্জাতিক শিশু দিবসের সূচনা হয় ১৯৮২ সালে। সে বছর লিবিয়ার যুদ্ধে বেইরুটে ইজরায়েলের হানাদার বাহিনীর বিমান আক্রমণে লিবিয়া ও প্যালেস্টাইনের ৬০ জন নির্দোষ শিশু নিহত হওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা এই দিনটিকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই দিনে সারা পৃথিবীতে যত শিশু ও কিশোর যুদ্ধ এবং সন্ত্রাসবাদী আগ্রাসনের শিকার হয়েছে তাদের সবাইকেই স্মরণ করা হয়।
পৃথিবী জুড়ে শিশু এবং কিশোররা নানা রকম আগ্রাসনের শিকার হয়। আগ্রাসনের শিকার নিরপরাধ শিশুদের সম্পর্কে সবাইকে জানাতে, তাদের অধিকার আদায়ে সচেতন হতে, বিশ্বব্যাপী শারীরিক, মানসিক, আবেগময় নির্যাতনের শিকার সব শিশুদের জন্য জাতিসংঘ এই দিবস পালন করে।
দিনটি ১৯৮২ সালের ১৯ অগাস্ট প্রতিষ্ঠা পায়। এই দিবসটি মূলত লেবাননের যুদ্ধের শিশুদের ভয়াবহ অবস্থাকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওইদিন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত হওয়া সপ্তম অধিবেশনে ফিলিস্তিনের এই দাবির ওপর বিবেচনা করে আগ্রাসনের শিকার নিরপরাধ শিশুর আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে প্রতি বছর ৪ জুন স্মরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
শিশুদের সকল অধিকার বাস্তবায়নের জন্য সন্মিলিত পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই। আর এজন্য আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতী রক্ষা করতে হবে। শিশু শ্রম, শিশু নির্যাতন, শিশু পাচার এবং যুদ্ধকালীন সময়ে শিশুদের অপব্যবহারের পথ বন্ধ করে দিতে হবে চিরতরে।