মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। আলাপ-আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে। আমরা কথা বলতে পারি। যতক্ষণ আলাপ-আলোচনা করার সুযোগ আছে ততক্ষণ আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি এবং করেও যাব। যুদ্ধ আমরা পরিহার করতে চাই। আমাদের কোনো প্রভোকেশন যেন যুদ্ধের কারণ না হয়। আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাই না।মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি, এটা দুঃখজনক। আমরা আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেব না। আমরা এখনই আক্রমণ করব না, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৫ জুন) ঢাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়ানমার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। মিয়ানমার আমাদের আকাশসীমাও কয়েকবার লঙ্ঘন করেছে। তারপরও আমরা এগুলো ধৈর্য্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছি।’
রোহিঙ্গা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকায় হতাশা ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে স্রোতের মতো আসা রোহিঙ্গাদের আমরা গ্রহণ করেছি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আমাদের প্রশংসা করছে। তারা আমাদের শুধু লিপ সার্ভিস দিচ্ছে। এটাও এখন অনেক কমে গেছে। আমরা এমনিতেই অর্থনৈতিক সংকটে আছি। এরমধ্যে আবার ১১ থেকে ১২ লাখ রোহিঙ্গার খাবারের ব্যবস্থা করাটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের তো এখন লিপ সার্ভিসের দরকার নেই। আমাদের এখন এ সংকট দূর করা প্রয়োজন। আজকের বিশ্বে এটা অত্যন্ত দুখজনক, জাতিংসঘের মতো সংস্থা এখন নখদন্তহীন হয়ে পড়েছে। তাদের কথা ইসরায়েলও মানে না। জাতিসংঘের এ অনুরোধের আর বাস্তবে কোনো কার্যকারিতা নেই।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমার আমাদের ভূখণ্ডে আক্রমণ করলে আমরাও জবাব দিতে প্রস্তুত আছি। আমরা এর জবাব দিব।’



