Top Newsআন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মংডুর বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান

মোহনা অনলাইন

রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমারের রাখাইনভিত্তিক সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লীগ অব আরাকান।

সোমবার মংডুর বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বার্তায় ইউনাইটেড লীগ অব আরাকানের পক্ষ থেকে বলা হয়, সামনের দিনগুলোতে মংডু শহরের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। তাই শহরবাসীকে আপাতত নিরাপদ কোনো স্থনে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
আরাকান আর্মি বলেছে, আজ সোমবার রাত ৯ টার মধ্যে মংডু শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কারণ আমরা জান্তার অবশিষ্ট ঘাঁটিগুলোতে হামলা করতে যাচ্ছি। তাই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাসিন্দাদের মংডুর সামরিক ঘাঁটি থেকে দূরে থাকতে বলা হলো।
এদিকে মিয়ানমার জান্তা সরকারের উপ-মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী অং কিয়াও মো বলেছেন, রাখাইনে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। রাখাইনের মংডু শহরে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা আটকা পড়েছে। সংঘাতের কারণে তারা শহর ছেড়ে যেতে পারছে না।
মংডু দখলের উদ্দেশ্যে গত মে মাস থেকে সেনা ছাউনি ও পুলিশ স্টেশনগুলো লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা শুরু করে আরাকান আর্মি। সেই হামলার ফলাফলও গোষ্ঠীটির পক্ষে যায়। মে শেষ হওয়ার আগেই মংডু জেলার উত্তরাঞ্চল এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অপর শহর বুথিডংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় এএ।
গত সপ্তাহে মংডুর ১০টি সেনা ছাউনির দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। এসবের মধ্যে মায়াওয়াদি ট্যাক্টিক্যাল কমান্ড বেস, না খাউং তো সেনা ছাউনি এবং আহ লেল থান কিয়াও সেনা ছাউনিও রয়েছে। মংডু জেলাজুড়ে যত সেনা ছাউনি রয়েছে, সেসবের মধ্যে এ দু’টি ছাউনি শক্তিশালী। এএ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ শতাধিক সেনা। নিহতদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর একজন কর্নেলও রয়েছেন।
মংডু বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী শহর। দুই দেশের ভূখণ্ডকে বিভক্ত করেছে নাফ নদী। সেই নদীর এক তীরে বাংলাদেশের টেকনাফ, অপর তীরে মংডুর অবস্থান। রাখাইনের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্রও এই শহরটি।
জান্তা ক্ষমতা দখলের পরপরই বিক্ষোভ শুরু হয় মিয়ানমারে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে আসে জান্তাবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। ২০২৩ সালে নভেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জান্তার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে যুদ্ধে নামে গোষ্ঠীগুলো। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে এবং ইতোমধ্যে দেশের এক পঞ্চমাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা।
author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button