Site icon Mohona TV

শুভ জন্মদিন সাবিনা ইয়াসমিন

ছবি: সংগৃহীত

গানের পাখি বলা হয় যাকে বাংলাদেশের গানের জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র সঙ্গীতাঙ্গনের কিংবদন্তি  সাবিনা ইয়াসমিনের আজ জন্মদিন। প্রায় চার দশক ধরে সংগীতের ভুবনে তার সগর্বে বিচরণ। ৭০ পেরিয়ে ৭১ বসন্তে পা দিয়েছেন এই স্বর্ণঝরা কণ্ঠের অধিকারী।

১৯৫৪ সালের এই দিনে এক পারিবারিক সুরের আবহাওয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পৈতৃক বাড়ি সাতক্ষীরায়। তার বাবা লুৎফর রহমান সরকারি চাকরি করলেও চমৎকার রবীন্দ্র সংগীত গাইতেন। মা মৌলুদা খাতুন মুর্শিদাবাদের প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ কাদের বক্সের কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিয়েছিলেন। তার পরিবারের পাঁচ বোনের মাঝে চার বোনই গান করেছেন। তারা হলেন ফরিদা ইয়াসমিন, ফওজিয়া খান, নীলুফার ইয়াসমিন এবং সাবিনা ইয়াসমিন।

সাবিনা ইয়াসমিন ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে একটানা ১৩ বছর তালিম নিয়েছেন। মাত্র ৭ বছর বয়সে স্টেজ প্রোগ্রামে অংশ নেন। ছোটদের সংগঠন খেলাঘরের সদস্য হিসেবে রেডিও ও টেলিভিশনে গান করেন নিয়মিত। ‘নতুন সুর’ ছবিতে প্রথম গান করেন তিনি শিশু শিল্পী হিসেবে। এরপর ১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ এবং ‘মধুর জোছনা দীপালি’ গানটির মাধ্যমে তিনি প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে আত্ন প্রকাশ করেন। ছায়াছবিতে ১২ হাজারের মতো গান করছেন তিনি।

সাবিনা ইয়াসমিন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘উল্কা’ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। তিনি ২০১০ সালে চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ নির্বাচনে একজন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে একুশে পদক, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার মোট ১৪টি, বাচসাস পুরস্কার মোট ৬টি, বিএফজেএ পুরস্কার লাভ করেন।

সাবিনা ইয়াসমিন  বলেন, এবারের জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনাই নেই। বাসা থেকে কোথাও যাচ্ছি না। বাসাতেই সময় কাটবে আমার। এখন দেশের যে পরিস্থিতি, এ পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই আসলে জন্মদিন উদযাপনের আগ্রহ নেই। সময়টা অন্য রকম। এখন দেশ গড়ার সময়, নতুন করে দেশটা ঠিকঠাকভাবে গড়ে তোলার সময়। সবকিছু স্বাভাবিক হোক, তখন না হয় নিজের জন্মদিন উপলক্ষে কিছু একটা করা যেতে পারে। আপাতত সবার দোয়া চাই, আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। আর সবাই যেন ভালো থাকেন নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে আমিও এ দোয়া করি।

author avatar
Online Editor SEO
Exit mobile version