Site icon Mohona TV

ভারতে যেতে পারে মাত্র ২৫০ টন ইলিশ

ছবি-সংগৃহীত

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসছে শুনে খুশিও হয়েছিলেন ভারতের কলকাতার বাসিন্দারা। তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানি থেকে সরে এসে তারা শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।

এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪০০ টন, আর একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে। আজ বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের প্রধান নিয়ন্ত্রককে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

কারণ বাংলাদেশেই এখন ইলিশ খুব বেশি ধরা পড়ছে না। এরপর আবার আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা ও বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। ফলে জেলেরা ইলিশ ধরার জন্য আর মাত্র ১৫ দিন সময় পাবেন।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেশটির মাছ আমদানি সংগঠনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেছেন, “বাংলাদেশের মাছের ঘাটগুলোতে খুবই কম ইলিশ আসছে। যেহেতু ১২ অক্টোবর থেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হচ্ছে। তার মানে ইলিশ বানিজ্য করা যাবে আর মাত্র ১৫ দিন।

গত বছর আমরা এক মাস বানিজ্য করে ৫৮৭ টন ইলিশ পেয়েছিলাম। অথচ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ। এবার যে আড়াই হাজার টন মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেটির ১০ ভাগের ১ ভাগ আসতে পারে।”

কম মাছ আসা মানে কলকাতায় এবার ইলিশের দাম চড়া থাকবে। হাওড়ার পাইকারি বাজারে এক কেজি বাংলাদেশি ইলিশ কিনতে খরচ পড়বে ১ হাজার ৫০০ রুপি। আর খুচরা বাজারে ১ কেজির একটি রুপালি মাছ কিনতে লাগবে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২০০০ রুপি। আর দেড় কেজির যেসব মাছ রয়েছে সেগুলোর দাম গত বছরের তুলনায় অন্তত ২০ শতাংশ বেশি পড়বে।

এদিকে ভারতের মাছ আমদানিকারক সংগঠনের সেক্রেটারি জানিয়েছে, তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে চিঠি দেবেন যেন ইলিশ বানিজ্যের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়িতে ১ মাস করা হয়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Exit mobile version