
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত বার্ষিক আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করার সুপারিশ করেছে।
রোববার (১৬ মার্চ) ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে স্বল্প আয়ের মানুষদের স্বার্থ রক্ষায় করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন।”
বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির কর কাঠামো অনুযায়ী প্রথম সাড়ে তিন লাখ টাকার আয় করমুক্ত। এরপর এক লাখ টাকার জন্য ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকায় ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকায় ১৫ শতাংশ, আরও ৫ লাখ টাকায় ২০ শতাংশ এবং অতিরিক্ত আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ হারে কর বসে।
বিশেষ শ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমানা আলাদা। যেমন—মহিলা ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ৪ লাখ টাকা, তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী সন্তানের পিতা-মাতার জন্য অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এবং চট্টগ্রামে ৫ হাজার টাকা, অন্যান্য সিটি করপোরেশনে ৪ হাজার টাকা, সিটি করপোরেশন ব্যতীত এলাকায় ৩ হাজার টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ১ কোটি ১১ হাজার টিআইএনধারী রয়েছেন, যার মধ্যে চলতি অর্থবছরে প্রায় ৪০ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন।
সিপিডি মনে করে, করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা হলেও কমবে, তবে এ ক্ষেত্রে কর কাঠামোর অন্যান্য স্তরও সমন্বয় করতে হবে।