প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেছেন, বহু বছর পর প্রথমবারের মতো জনগণ, বিশেষ করে প্রথমবার ভোটার হওয়া তরুণরা স্বাধীনভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবে। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অস্ট্রেলিয়ার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার সুসান রাইল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ড. ইউনূস আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাৎকালে অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রম, নির্বাচন প্রস্তুতি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়। ড. ইউনূস অস্ট্রেলিয়াকে ঢাকায় ভিসা কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য ধন্যবাদ জানান। হাইকমিশনার জানান, ভিসার আবেদন এখন অনলাইনে জমা দেয়া যাবে। বর্তমানে ৬৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন এবং ১৪ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী সেখানে অধ্যয়ন করছেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “অস্থির সময়ের পর আমরা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।” তিনি জানান যে, তাদের মনোযোগ সংবিধান, বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনিক সংস্কারে কেন্দ্রীভূত রয়েছে, যা একটি শক্তিশালী বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তুলবে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, “বহু বছর পর প্রথমবারের মতো জনগণ, বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে। আমি বিশ্বাস করি, এটি একটি উৎসবমুখর ও আশাব্যঞ্জক সময় হবে।”
নির্বাচনী সহায়তা নিয়ে সুসান রাইল জানান, অস্ট্রেলিয়া ইউএনডিপির মাধ্যমে বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার প্রদান করবে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের বাণিজ্য বর্তমানে পাঁচ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারে পৌঁছেছে, যা গত পাঁচ বছরে ১৬.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।”
অস্ট্রেলিয়ার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার অধ্যাপক ইউনূসকে জানান যে, অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস প্রোগ্রাম বাংলাদেশে তিন হাজারেরও বেশি সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে।
এর জবাবে, অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়াতে বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান জানান। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।



